দলবদল বাজার চালু থাকলেও এবারের মতো রিয়ালের কেনাকাটা শেষ বলে জানিয়ে দিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। অনেকেই তাতে অসন্তুষ্ট, কিলিয়ান এমবাপ্পেকে এবার পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আনচেলত্তির দল যে ভরসা করার মতো খেলোয়াড় পেয়ে গেছে, সেটিই যেন দেখিয়ে চলেছেন জুড বেলিংহাম। খেলোয়াড়ি পজিশন এমবাপ্পের মতো না হলেও এবারের লা লিগায় একের পর এক গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ২০ বছর বয়সী এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।
যার সর্বশেষ নজির, আজ সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচে। বারবার হানা দিয়েও সেল্তার জমাট রক্ষণ যখন ভাঙা যাচ্ছিল না, তখন ৮১ মিনিটে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে ১-০ ব্যবধানের জয় এনে দিয়েছেন বেলিংহামই।
এ নিয়ে চলতি লা লিগায় ৩ ম্যাচে চার গোল করেছেন এবারই মাদ্রিদের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়া বেলিংহাম।
সেল্তার মাঠ বালাইদোসে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চাপের মুখে পড়তে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। তৃতীয় মিনিটেই রিয়ালের জালে বল পাঠিয়ে দেন স্ট্রান্ড লারসেন। তবে বল জালে পাঠানোর আগে রিয়াল গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগাকে ফাউল করায় লারসেনের গোলটি ভিএআরে বাতিল হয়।
প্রথমার্ধে বল জালে পাঠায় রিয়াল মাদ্রিদও। ৪৩ মিনিটে বেলিংহামের কাছ থেকে বল পেয়ে সেল্তা গোলরক্ষক ভিলারকে ফাঁকি দিয়ে জালে পাঠান জোসেলু। তবে অফসাইডে থাকায় এটি গোল হয়নি।
রিয়ালের সামনে সেল্তার রক্ষণ দেয়াল ভাঙার ভালো সুযোগ আসে ৬৬তম মিনিটে। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া রদ্রিগোকে ভিলার ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। শটও নিতে যান রদ্রিগোই। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করে দেন সেল্তা গোলরক্ষক।
পেনাল্টি রুখে দেওয়ার পর সেল্তার আক্রমণের ধার বাড়তে থাকে। লারসেন, ইয়াগো আসপাসরা বারবার হানা দিতে থাকেন রিয়ালের বক্সে। তবে ফিনিশিং টাচ দিতে পারছিলেন না কেউ।
আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের ধারার মধ্যে ৮১ মিনিটে গোল পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। টনি ক্রুসের কর্নার জোসেলু হেডে গোলমুখে বাড়ালে পেয়ে যান বেলিংহাম। কাছ থেকে হেডে বল জালে জড়ান ডর্টমুন্ড থেকে আসা এই মিডফিল্ডার।
এর আগে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ২-০ জয়ের ম্যাচে একটি এবং আলমেরিয়ার বিপক্ষে ৩-১ জয়ের ম্যাচে দুটি গোল করেছিলেন বেলিংহাম।
শেষ পর্যন্ত গোলটি ধরে রেখে তিন পয়েন্টের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেও বেলিংহামের দল।