কানাডার ইতিহাস গড়ার আনন্দ
কানাডার ইতিহাস গড়ার আনন্দ

কোপা আমেরিকা

ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনাকে পেল কানাডা

আগের দিন ইকুয়েডরের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। শেষ চারে লিওনেল মেসিদের প্রতিপক্ষ হওয়ার লড়াইয়ে আজ মাঠ নেমেছিল কানাডা ও ভেনেজুয়েলা। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ফল আসেনি নির্ধারিত ৯০ মিনিটে।

১-১ গোলে সমতা থাকার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে ভেনেজুয়েলাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে উঠেছে কানাডা। তাদের আগে ২০০১ সালে কোপা আমেরিকায় প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই সেমিফাইনালে ওঠার সর্বশেষ নজির গড়েছিল হন্ডুরাস।

কোপা আমেরিকায় এবারই প্রথম অংশ নিয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপের সহ–আয়োজক কানাডা। আর মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে প্রথমবারেই চমক দেখিয়ে সেমিফাইনালে উঠল তারা। সেমির প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বেও খেলেছে কানাডা। সে ম্যাচে অবশ্য ভালো খেলেও ২-০ গোলে হেরে যায় তারা।

টেক্সাসে আজ দুই দলই আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে জমিয়ে তোলে ম্যাচ। শুরুর দিকে অবশ্য ভেনেজুয়েলার চেয়ে কানাডার দাপটই ছিল বেশি, যে দাপটে ম্যাচের প্রথম গোলটাও করে তারাই। ১৩ মিনিটে জ্যাকভ শাফেলবার্গের গোলে লিড নেয় কানাডা। ডান প্রান্ত দিয়ে দারুণ এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণ-দেয়াল ভেঙে গোল করেন নাশভিলের এই ফরোয়ার্ড।

টাইব্রেকারের হৃদয় ভাঙল ভেনেজুয়েলার

গোল খেয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে ভেনেজুয়েলা। পরের কয়েক মিনিটে কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা; যদিও শেষ পর্যন্ত ফেরানো হয়নি সমতা। ভেনেজুয়েলার আক্রমণ সামলে জবাব দিতে শুরু করে কানাডাও। তবে গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারাও। আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণের ধারাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতির পরও একই ধারায় চলতে থাকে খেলা। দুই দলই চেষ্টা করছিল গোল আদায়ের। শেষ পর্যন্ত সালোমন রনডনের বুদ্ধিদীপ্ত এক শটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পেয়ে সমতা ফেরায় ভেনেজুয়েলা। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে কানাডার এক কর্নারকে প্রতি-আক্রমণে রূপ দেয় ভেনেজুয়েলা। জন আর্মবুরুর কাছ থেকে বল পেয়েছে প্রতিপক্ষ বক্স বরাবর ছুটতে শুরু করেন রনডন।

কিছুদূর এগিয়েই তিনি লক্ষ করেন, কানাডার গোলরক্ষক ম্যাক্সিমে ক্রেপিয়াউ অনেকটাই সামনে এগিয়ে এসেছেন। সুযোগ বুঝতে পেরে আর সামনে না এগিয়ে ৩৫ গজ দূর থেকেই শট নিয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান এই স্ট্রাইকার।

ম্যাচে সমতা আসার পর দুই দলই চেষ্টা করে এগিয়ে যাওয়ার। দুই দলের সামনেই এ সময় সুযোগ এসেছিল এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কোনো দল গোল না পেলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকার–ভাগ্যে, যেখানে বাজিমাত করে কানাডা। এখন ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ১০ জুলাই আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে তারা।