প্লজেনকে গোলে ভাসিয়ে বায়ার্নের নতুন রেকর্ড

গোল উৎসব করল বায়ার্ন মিউনিখ। গোলে ভাসল ভিক্টোরিয়া প্লজেন। এক, দুই, তিন, চারের পর পাঁচ। প্লজনের জালে একে একে ৫ গোল দিয়ে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা পেল এ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা তৃতীয় জয়। একটা গোলও শোধ দিতে পারেনি চেক ক্লাবটি।

জোড়া গোল করেছেন লেরয় সানে। একটা করে গোল সাদিও মানে, সার্জ ন্যাব্রি ও এরিক চোপো-মোটিংয়ের।

লেরস সানেকে অভিনন্দন সতীর্থের

এ জয়ের চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নতুন রেকর্ডও গড়ল বায়ার্ন। আগের রেকর্ড ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল। বায়ার্নের অপরাজিত যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৭-১৮ মৌসুমে সেল্টিকের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় দিয়ে। এই ৩১ ম্যাচের মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ জিতেছে ২৮টি, ড্র করেছে ৩টি।

এবার গ্রুপ পর্বটা বায়ার্ন শুরু করেছিল ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে। পরের ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষেও জার্মান চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে একই ব্যবধানে।

অন্যদিকে বার্সেলোনার কাছে ৫-১ গোলে হারে শুরুর পর প্লজেন ইন্টারের কাছে হেরেছিল ২-০ ব্যবধানে।  

গোলের পর সাদিও মানে

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২১ মিনিটের মধ্যেই ৩ গোল করে প্লজেনকে কোনঠাসা করে ফেলে বায়ার্ন। জামাল মুসিয়ালার পাস থেকে লেরয় সানের প্রথম গোল ম্যাচের ৭ মিনিটে। মিনিট পাঁচেক পরে লেওন গোরেৎস্কার পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান সার্জ ন্যাব্রি। সাদিও মানে ৩-০ করেন ম্যাচের ২১ মিনিটে। 

বিরতির আগে আর গোল হয়নি, তবে বায়ার্নের দাপট ছিল একই রকম। ৫০ মিনিটে মানের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করে সানে। ৫৯ মিনিটে আবার গোরেৎস্কার পাস, এবার প্লজেনের জালে বল পাঠান মুসিয়ালার বদলি নামা  চোপো-মোটিং। ব্যবধান পরে আর বাড়াতে পারেনি বায়ার্ন। তাতে সম্ভবত প্লজেনই স্বস্তির নিশ্বাসই ফেলেছে।

বুন্দেসলিগায় ৮ ম্যাচে মাত্র ৪ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে আপাতত বায়ার্নকে অপ্রতিরোধ্যই লাগছে। টানা তিন জয়ে নিজেদের গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথেও অনেকটা এগিয়ে আছে ইউলিয়ান নাগলসমানের দল।