ইরানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে এশিয়ান কাপের ফাইনালে চলে গেছে স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাতার। বুধবার দোহায় খ্যাপাটে এক ম্যাচে ৮২তম মিনিটে জয়সূচক গোল পায় কাতার। স্বাগতিকদের হয়ে গোলটি করেন আলমুইজ আলী।
সর্বশেষ বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে তিনটি ম্যাচই হেরেছিল কাতার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো স্বাগতিক দলের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল সেটিই। তবে সে স্মৃতিকে চাপা দিয়ে আল থুমামা স্টেডিয়ামের প্রায় ৪০ হাজার দর্শকের সামনে আজ উল্লাসে মেতেছে দলটি। আগামী শনিবার ফাইনালে জর্ডানের মুখোমুখি হবে কাতার।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই সরদার আজমুনের গোলে এগিয়ে যায় ইরান। তবে জাসেম গাবেরের শট ইরানের সাঈদ এজাতোলাহির গায়ে লেগে জালে ঢুকলে দ্রুতই সমতায় ফেরে কাতার। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে টুর্নামেন্টে এরপর নিজের পঞ্চম গোল করে কাতারকে এগিয়ে নেন আকরাম আফিফ। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আলীরেজা জাহানবখশের পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে সমতায় ফেরে ইরান।
৮২ মিনিটে এরপর জয়সূচক গোলটি করেন আলমুইজ। ২০১৯ সালে তাঁর এশিয়ান কাপের রেকর্ড ৯ গোলে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল কাতার, কিন্তু এবার সেমিফাইনালের আগে মাত্র ১টি গোল করেছিলেন তিনি। তাঁর শেষ দিকের গোলেই ১৯৭৬ সালের পর আরেকটি এশিয়ান কাপের শিরোপা জয়ের অপেক্ষা বেড়েছে ইরানের।
যোগ করা সময়ে শোজায়ি খলিলজাদেহ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ম্যাচে ফেরা আরও কঠিন হয়ে পড়ে ইরানের। শেষ মিনিটে অবশ্য দারুণ সুযোগ পেয়েছিল তারা, তবে জাহানবখশের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
ম্যাচে অবশ্য সেটিই ইরানের একমাত্র আক্ষেপ নয়। আজমুন লিড এনে দেওয়ার পর সেটি দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল তারা। তবে জাহানবখশের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মেহদি তারেমি। এরপর ১৭তম মিনিটে সময় ফেরে কাতার। যদিও সেটির বিল্ডআপে ফাউল হয়েছিল বলে মত ইরানিদের।
সুযোগ মিস করেছে কাতারও। প্রথম গোলের পর আফিফ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ইরান গোলরক্ষক আলীরেজা বিরানভান্দকে একা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। অবশ্য ৪৩তম মিনিটে গিয়ে আর ভুল করেননি তিনি।
প্রথমার্ধের পর আরও গুছিয়ে খেলা ইরান সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটেই। কাতার ডিফেন্ডার আহমেদ ফাতেহির হ্যান্ডবলের সৌজন্যে ও ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি পায় তারা। পেনাল্টি থেকে ভুল করেননি জাহানবখশ।
অবশ্য কাতারের শেষ গোলেও আছে বিতর্ক। অফসাইড মনে হলেও সে গোল শেষ পর্যন্ত দেওয়া হয়। ৯০ মিনিটের পর প্রায় ১৭ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হলেও আর গোল করতে পারেনি ইরান।