ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো থাকবেন কি না, সেটা এখনো ঠিক হয়নি। শেষ পর্যন্ত পর্তুগিজের এই তারকা ফরোয়ার্ড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়লে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটির আক্রমণভাগকে বয়ে বেড়ানোর দায়িত্বের বেশির ভাগই পড়বে অ্যান্থনি মার্শিয়াল ও মার্কাস রাশফোর্ডের ওপর।
এমন নয় যে ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ডে খেলোয়াড়ের কমতি আছে। ম্যাসন গ্রিনউড, জ্যাডন সানচো, অ্যান্থনি এলাঙ্গারাও আছেন ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ডে। তাঁরা ভালোও করছেন। প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচের দিকে তাকালে অন্তত সে রকমই মনে হবে।
প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতিতে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে ইউনাইটেড। প্রতিপক্ষের জালে গোল করেছে ১১টি। এই ১১ গোলের ৫টিই করেছেন মার্শিয়াল ও রাশফোর্ড। সানচো করেছেন ২টি গোল। গোল পেলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণে অবশ্য সেভাবে আতঙ্ক ছড়াতে পারেনি ইউনাইটেডের আক্রমণভাগের কেউ।
ইউনাইটেডের নতুন কোচ প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতিতে তাঁর দলের মাঝমাঠ আর আক্রমণভাগের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও অন্য একটা কারণে একটু দুশ্চিন্তায় আছেন বলেই মনে হচ্ছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সাফল্য পেতে হলে এটা (আক্রমণভাগের ভালো করা) গুরুত্বপূর্ণ। মৌসুমটা সত্যি অনেক লম্বা।’
আক্রমণে আরও বিকল্পের খোঁজ করছেন টেন হাগ, ‘মৌসুম লম্বা হওয়াটা একটা বিষয়। অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। আক্রমণভাগে তাই আপনার আরও বিকল্প লাগবে। এটা পূরণের জন্য আমাদের হাতে এখনো অনেক সময় আছে।’ সেই বিকল্পের একজন হতে পারেন আয়াক্সের উইঙ্গার অ্যান্তনি। দলবদলের বাজারে গুঞ্জন, ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গারকে পেতে চাইছেন টেন হাগ।
দলের মাঝমাঠ নিয়ে সন্তুষ্ট ইউনাইটেডের ডাচ কোচ বলেছেন, ‘মাঝমাঠে আমরা (ক্রিস্টিয়ান) এরিকসেনকে নিয়েছি। এটা নিয়ে আমরা খুবই খুশি। মাঝমাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা এই মুহূর্তে খুশি। আক্রমণভাগের পারফরম্যান্সও ভালো। তবে এ মৌসুমে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বকাপ আছে। তাই আমাদের আরও বিকল্প প্রয়োজন।’