ইন্টার মায়ামির অনুশীলন জার্সিতে মেসি-আলবার হাসিমাখা ছবিটা চোখে পড়েছে কি! যদি দেখে থাকেন আর আপনি যদি হন বার্সার সমর্থক, তাহলে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
আপনাকে পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া, অর্থাৎ জর্দি আলবার মায়ামিতে আসা কিংবা আরও স্পষ্ট করে বললে মেসি-আলবা-বুসকেতসের পুনর্মিলনীটা কিন্তু এতটা সহজে হয়নি। মায়ামিতে আসতে বার্সা লেফট ব্যাক আলবাকে ছাড়তে হয়েছে বড় অঙ্কের প্রস্তাব। কেন টাকার অঙ্কে আরও বড় প্রস্তাব থাকার পরও মায়ামিতে আলবা, সংবাদমাধ্যমকে সেটাই জানিয়েছেন এই স্প্যানিশ ফুটবলার।
মায়ামিতে আসার আগে ১১ মৌসুম বার্সেলোনায় কাটিয়েছেন আলবা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার হয়ে ৬০৫টি ম্যাচ খেলেছেন। রক্ষণের খেলোয়াড় হলেও আক্রমণ তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর, ৩৭ গোল ও ১০৭ অ্যাসিস্ট যার প্রমাণ। বার্সায় সম্ভাব্য সবকিছু জেতার পর সর্বশেষ মৌসুম শেষে মুক্ত ফুটবলার হয়ে যান আলবা। এর পর থেকেই সৌদি আরব থেকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে।
সৌদি ফুটবলের দলবদলের অঙ্ক দেখলেই ধারণা পাওয়া যায়, আলবাকে দেওয়া প্রস্তাবটাও কম ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত এই বার্সা কিংবদন্তি যোগ দেন মেসির মায়ামিতে, ‘আরও বড় অঙ্কের প্রস্তাব ছিল, তবে আমার কাছে প্রাধান্য ছিল নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবা। আমার মনে হয়, আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ক্লাবই আমাকে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করছে।’
বার্সেলোনায় মেসির সঙ্গে ৯ মৌসুম খেলেছেন আলবা, বুসকেতসের সঙ্গে খেলেছেন আরও বেশি—১১ মৌসুম। স্বাভাবিকভাবেই আবার মায়ামিতে পুরোনো সতীর্থদের সঙ্গে পুনর্মিলনীতে খুশি আলবা। আর শুধু কি পুরোনো সতীর্থদের সঙ্গে, পুরোনো কোচ টাটা মার্তিনোর সঙ্গেও পুনর্মিলনী হচ্ছে আলবার। টাকার চেয়ে এসব সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছেন আলবা, ‘লিও আর বুসকেতসের সঙ্গে পুনর্মিলনীতে খুবই খুশি। শুধু আমরা তিনজন নই, এই দলে অনেক ফুটবলারই ভালো, যারা আমাদের সব ম্যাচ জিততে সাহায্য করবে। আমরা টাটাকে চিনি, তারও আমাদের সম্পর্কে ধারণা আছে। এই প্রকল্পও আমার চেনা। এ কারণেই আমি এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাত্র তিন-চার দিন হলো এখানে এসেছি, কিন্তু মনে হচ্ছে, পুরো জীবনই এখানে কাটিয়েছি।’
গত মাসের শেষের দিকে বাবা হওয়ায় দলের সঙ্গে যোগ দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে আলবার। মেসি, বুসকেতসের মায়ামির হয়ে অভিষেক হলেও এখনো তাই আলবাকে দেখা যায়নি। লিগস কাপের ম্যাচে অরল্যান্ডোর বিপক্ষে আলবাকে দেখা যাবে কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়। যদিও আলবা বলছেন, তিনি শারীরিকভাবে ফিট, ‘আমি শারীরিকভাবে ওকে, কিন্তু এই আবহাওয়ার সঙ্গে আমাকে মানিয়ে নিতে হবে।’