ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় তাকিয়ে তথ্যটি জানলে ভ্রুকুটি জাগতে পারে। প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আর্সেনাল। ২০ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট গানারদের। আর ২১ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি।
আর্থিক নিয়ম ভাঙার অভিযোগে পরশু সিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। একটি স্বাধীন কমিশনের অধীন এখন ক্লাবটির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত ও বিচার হবে। দোষী প্রমাণিত হলে পয়েন্ট কর্তন কিংবা প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমেও যেতে পারে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর এই স্বাধীন কমিশনের প্রধান মারে রোজেন কেসি আর্সেনাল ক্লাবের সদস্য।
সিটির সমর্থকেরা এই তথ্য জেনে অন্য কিছুর গন্ধ শুঁকতে পারেন। তবে ইতিহাদ স্টেডিয়ামের দলটির বিরুদ্ধে শক্ত অভিযোগই উঠেছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শতাধিক আর্থিক নিয়ম ভেঙেছে সিটি। স্বাধীন কমিশন এই অভিযোগের ভিত্তিতে গোপনীয়তার সঙ্গে সিটির বিচার করবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানিয়েছে, এই স্বাধীন বিচারক কমিশনের প্রধান হিসেবে মারে রোজেন তাঁর সতীর্থদের বেছে নিতে পারবেন। অর্থাৎ, স্বাধীন কমিশনের বাকি সদস্যদের বাছাই করবেন তিনি।
সিটির ভাগ্য নির্ধারণ করতে যাওয়া এই কমিশনের সঙ্গে আর্সেনালের সরাসরি কোনো সংযোগ নেই। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ‘প্রিমিয়ার লিগ ও সদস্য ক্লাবগুলো থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন হবে এই কমিশন। প্রিমিয়ার লিগ বিচারক প্যানেলের প্রধান স্বাধীনতা নিয়ে কমিশনের বাকি সদস্যদের নির্বাচন করবেন।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর জানিয়েছে, ব্যারিস্টারদের ফোর নিউ স্কয়ার ওয়েবসাইটে মারে রোজেনের প্রোফাইলে দাবি করা হয়েছে, তিনি আর্সেনালের সদস্য। খেলাধুলার আইনি বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞ।
এদিকে স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘বিগ সিক্স’–এর বাকি পাঁচ সদস্য ক্লাব সিটির সর্বোচ্চ শাস্তিই চায়। এই পাঁচ ক্লাব হলো, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, চেলসি ও টটেনহাম হটস্পার।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিটির কাছ থেকে শিরোপা কেড়ে নেওয়া ‘অর্থহীন’ এবং পয়েন্ট কেটে নেওয়ায় ‘তেমন কিছু হবে না’ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর চেয়ে বড় শাস্তি হতে পারে সিটিকে প্রিমিয়ার লিগ থেকে নামিয়ে দেওয়া। আর এই শাস্তির পক্ষে প্রিমিয়ার লিগের এই বড় পাঁচটি ক্লাব।
প্রিমিয়ার লিগে গত ১১ মৌসুমের মধ্যে ছয়বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিটি। স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি দলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা কঠোর শাস্তিই চাইবে। তবে বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো কোনোভাবেই জড়াতে চায় না। স্বাধীন কমিশনের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে ক্লাবগুলো।