জুড বেলিংহামকে ঠিক চেনা যাচ্ছিল না। একটা গোল করলেন বটে, তবে অচেনা লাগছিল ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকেও। আসলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজ লাইপজিগের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে সেরাটা দেওয়ার দরকারও পড়েনি। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল রিয়াল। মানে আজ ফিরতি লেগে না হারলেই কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত ছিল কার্লো আনচেলত্তির দলের। ভিনিসিয়ুসের গোলে এগিয়ে যাওয়া রিয়াল ম্যাচটা শেষ করল ১-১ সমতায়। আর তাতেই দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালেও উঠে গেল রেকর্ড ১৪বারের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের আগেই রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি তাঁর খেলোয়াড়দের সতর্ক করে দিয়েছিলেন, সেরাটা না দিলে পরের রাউন্ডে যাওয়া যাবে না। আজ একাদশটাও রিয়াল কোচ সাজিয়েছিলেন বেশ সতর্কভাবে। ভিনি-বেলিংহামের পেছনে চার মিডফিল্ডার রেখে। ক্রুস-ভালভার্দের সঙ্গে খেলেছেন কামাভিঙ্গা ও চুয়ামেনি। বোঝাই যাচ্ছিল, যেভাবেই হোক প্রথম লেগের লিডটা ধরে রাখতে চান রিয়াল কোচ।
তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। রিয়াল স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছিল না। উল্টো লাইপজিগকেই বেশ স্বছন্দ লাগছিল শুরু থেকে। তবে জার্মান ক্লাবটি গোলের ভালো সুযোগ ওই অর্থে খুব বেশি পায়নি।
বিরতির পর কামাভিঙ্গাকে তুলে রদ্রিগোকে নামান আনচেলত্তি। তাতে রিয়ালের খেলায় কিছুটা ধার ফেরে। নিস্প্রভ প্রথমার্ধ কাটানো ভিনিও কিছুটা নড়াচড়া শুরু করেন। এর মধ্যেই অবশ্য একবার মেজাজ হারিয়ে লাইজিগের উইলি অরবানকে ফাউল করে এবং পরে ধাক্কা দিয়ে হলুদ কার্ডও দেখেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
তবে রিয়ালের গোলটা এসেছে শেষ পর্যন্ত ভিনির পা থেকেই এবং সেটার আগে তাঁকে দারুণ পাস দিয়েছেন বেলিংহাম। ৬৫ মিনিটে পাওয়া সেই গোলে এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তিটা অবশ্য খুব বেশিক্ষণ ছিল না রিয়ালের। মিনিট তিনেক পরেই অরবান শোধ করে দেন সেই গোল।
সমতা ফেরানোর পর দারুণ কয়েকটা আক্রমণও করেছে লাইপজিগ। কিন্তু দুর্ভাগ্য ওদের, গোল পায়নি আর। এর মধ্যে দানি ওলমোর একটা শট তো ফিরে ক্রসবারে লেগে! হতাশা নিয়েই তাই মাঠ ছাড়তে হয় লাইপজিগকে।