এমবাপ্পের একটি পুরোনো ফিফা কার্ড ঘোরাফেরা করছে। সেখানে কিন্তু এমবাপ্পের নাম—লটিন (ইংরেজিতে lottin)
এমবাপ্পের একটি পুরোনো ফিফা কার্ড ঘোরাফেরা করছে। সেখানে কিন্তু এমবাপ্পের নাম—লটিন (ইংরেজিতে lottin)

এমবাপ্পে যখন ‘লটিন’

কিলিয়ান এমবাপ্পে—এই নামে তাঁকে চেনে গোটা বিশ্ব। কিন্তু যদি দাবি করা হয়, এমবাপ্পের আরেক নাম ‘লটিন’। ভাবছেন বুজরুকি! না, মোটেই তা নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমবাপ্পের একটি পুরোনো ফিফা কার্ড ঘোরাফেরা করছে। সেখানে কিন্তু এমবাপ্পের নাম—লটিন (ইংরেজিতে lottin)। ফরাসি ভাষায় উচ্চারণটা লুঁতো। তবে বাংলাভাষী ফুটবলপ্রেমীরা সম্ভবত সোজাসাপটা উচ্চারণটাই বেশি পছন্দ করবেন।

প্রশ্ন হলো, এই ফিফা কার্ড কী? অনলাইনে ফিফা গেম খেলতে এই কার্ড কাজে লাগে। কার্ডে খেলোয়াড়দের প্রোফাইল থেকে বিভিন্ন তথ্য–পরিসংখ্যান এবং র‌্যাঙ্কিংও থাকে। এই র‌্যাঙ্কিংয়ে গেমসের তৈরি করা এবং কার্ডের ‘ব্রোঞ্জ’, ‘সিলভার’ ও ‘গোল্ড’ সংস্করণও আছে। ২০১৬–১৭ মৌসুমে এমবাপ্পের এই ফিফা কার্ডেই তাঁর নাম লেখা—লটিন।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন এমবাপ্পে

২০১৬–১৭ মৌসুমের আগে ফ্রান্সের বাইরে এমবাপ্পেকে কেউ সেভাবে চিনতেন না। সে মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোনাকোর হয়ে ৪৪ ম্যাচে ২৬ গোল করার পাশাপাশি লিগ আঁ শিরোপাও জিতে নেন এমবাপ্পে। ওই মৌসুম শেষেই এমবাপ্পের তারকাখ্যাতি ইউরোজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। পিএসজির এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা তো এখন বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের একজন। ২০১৭ সালে অনলাইন গেমিংয়ের জন্য মোনাকোর ফিফা স্কোয়াডে এমবাপ্পের নামও ছিল। আর সেই স্কোয়াডেই এমবাপ্পের জন্য বানানো কার্ডে ওই নামটা দেখা যায়। শুধু ফিফা কার্ড নয়, লিগ আঁ–তে এমবাপ্পের প্রথম গোলের ভিডিওতেও তাঁর পুরো নাম লেখা—কিলিয়ান এমবাপ্পে লটিন। গোলটির ভিডিও দেখা যাবে লিগ আঁ কর্তৃপক্ষের নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে। সেখানে অবশ্য এমবাপ্পের (মোনাকো) জার্সির পেছনে কোনো নাম লেখা নেই।

এমবাপ্পের পুরো নাম—কিলিয়ান এমবাপ্পে লটিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমবাপ্পের ফিফা কার্ডে শুধু ‘লটিন’ দেখার পর ফুটবলপ্রেমীরা বেশ অবাকই হয়েছেন। ‘এক্স’–এ ছবিটি দেখে একজনের মন্তব্য, ‘তখন কি তাঁকে লটিন নামে ডাকা হতো?’ আরেকজন ছবিটি দেখে মজা করে লিখেছেন, ‘দেখে তো এমবাপ্পের মতোই লাগে!

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানিয়েছে, এমবাপ্পের পারিবারিক পদবি লটিন। এমবাপ্পে নামটি ফরাসি তারকার নামের মাঝের অংশ। ২০১৮ সালের আগস্টে পিএসজিতে যোগদানের আগে নিজের নাম থেকে ‘লটিন’ ছেঁটে ফেলেন এমবাপ্পে। তাঁর বাবাও নিজের নামের সঙ্গে ‘লটিন’ পদবি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে শুধু এমবাপ্পে নামটাই তিনি ব্যবহার করছেন। এমবাপ্পের ভাই ইথানও পিএসজির খেলোয়াড়। ইথান নিজেও তাঁর নাম থেকে ‘লটিন’ পদবি ছেঁটে ফেলে শুধু এমবাপ্পে রেখেছেন।

এমবাপ্পের ফিফা কার্ড

তবে এই নাম ছেঁটে ফেলার কারণ জানা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে এতটুকু জানা গেছে, এমবাপ্পের বাবা উইলফ্রিড ক্যামেরুন বংশোদ্ভূত—দেশটির দিয়েবালি দ্বীপে তাঁর শিকড়। ক্যামেরুনে ‘লটিন’ নামটা বহুল প্রচলিত। ফরাসি ভাষায় এই নামের অর্থ ‘লাভ অব মাই লাইফ’ বা বাংলায়—আমার জীবনের ভালোবাসা।