আশরাফ হাকিমির বিরুদ্ধে এক নারীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। কিন্তু মূল ঘটনাটি আড়াল করে এখন বড় হয়ে উঠেছে হাকিমির পারিবারিক দ্বন্দ্ব। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার কয়েক দিন পর হাকিমির সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী মডেল ও অভিনেত্রী হিবা আবুক। পাশাপাশি হাকিমির কাছ থেকে সম্পদের অর্ধেকও দাবি করেন হিবা।
এই পর্যন্ত ঘটনা স্বাভাবিকই ছিল। চমকে যাওয়ার মতো খবরটি আসে এরপর। জানা যায়, হাকিমির নিজের নামে কোনো সম্পদ নেই। তাঁর বেশির ভাগ সম্পদের মালিক মা সাঈদা। হাকিমির নিজের নামে কোনো সম্পদ না থাকার এই খবর নেট–দুনিয়ায় বেশ ঝড় তোলে।
পুরো ঘটনা নিয়ে এবার আলাদাভাবে মুখ খুলেছেন হাকিমির মা এবং স্ত্রী। হাকিমির মা সাঈদা দোষ দিয়েছেন হিবার ঘাড়ে। আর হিবা বলেছেন, বস্তুগত সম্পদের প্রতি তাঁর কোনো মোহ নেই। চিন্তাভাবনা করেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত বিশ্বকাপ থেকে আলোচনায় হাকিমির মা সাঈদা। কাতার বিশ্বকাপের সময় হাকিমিকে আদর করে চুমু খাওয়ার ছবি ভাইরাল হওয়ার পর প্রথম আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। এবার ছেলের বেশির ভাগ সম্পদের মালিকানার খবর সামনে আসায় আবার আলোচনায় সাঈদা। যদিও সাঈদার দাবি, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সঙ্গে পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন হিবাকে।
মরক্কোর এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘যদি আমার ছেলে এই কাজ (সম্পদ মা সাঈদার নামে করে দেওয়া) না করে, তাহলে এই নারীর কাছ থেকে সে মুক্তি পাবে না।’ হাকিমির মায়ের সঙ্গে হিবার সম্পর্ক যে একেবারেই স্বাভাবিক নয়, সাঈদার মন্তব্যে সেটাই স্পষ্ট হয়েছে।
অন্যদিকে পুরো ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন হিবা আবুক। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে হিবা বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত আকস্মিকভাবে নেওয়া হয়নি। অনেক শান্তভাবে এবং যত্ন নিয়ে ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবনে অনেক ভালো মুহূর্ত এবং খারাপ মুহূর্ত থাকবে। আপনি ভালোবাসার জন্য বিয়ে করেন এবং ভালোবাসার অভাবে বিচ্ছেদ ঘটান।’
হাকিমির সম্পদকে ঘিরে নানা আলোচনা সামনে আসার ব্যাপারে হিবা বলেছেন, ‘আমি দুই মিটার স্কয়ার ঘর ভাগাভাগি করে থাকতাম। বস্তুগত জিনিসের ব্যাপারে আমার আগ্রহ শূন্য। আমি সব সময় লড়াকু ছিলাম।’
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এক নারী হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। হাকিমির আইনজীবী ফ্যানি কোলিন অবশ্য শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। উল্টো সেই নারীর বিরুদ্ধে হাকিমিকে জিম্মি করার অভিযোগ আনেন কোলিন।