যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। কিন্তু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হয়ে যাচ্ছে শিগগিরই। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সদর দপ্তরে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাছাইপর্বের এশিয়া অঞ্চলের প্রথম রাউন্ডের ড্র। এতে জামাল ভূঁইয়ারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছেন মালদ্বীপকে।
আগামী ১২ ও ১৭ অক্টোবর মালদ্বীপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ—যার একটি হবে ঢাকায়, অন্যটি মালেতে। হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে এ দুটি ম্যাচে যে দল এগিয়ে থাকবে, তারাই কোয়ালিফাই করবে এশিয়ার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে। এই রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে ৩৬টি দলকে নিয়ে, ৯টি গ্রুপে ভাগ হয়ে। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আরও ৬ ম্যাচ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
প্রতিপক্ষ হিসেবে মালদ্বীপ বাংলাদেশের খুবই চেনা। এক মাস আগেই এই দলের বিপক্ষে আছে মধুর স্মৃতি। গত মাসে ভারতের বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপকে দাপট দেখিয়ে ৩–১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে চেনা হলেও মালদ্বীপ মোটেও সহজ কোনো প্রতিপক্ষ নয়। এই দলের বিপক্ষেই মাঝখানের ১৮ বছর কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ঢাকায় হারানোর পর মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত। মাঝের এই সময় টানা কয়েকটি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে দুঃসহ হারটি ২০১৬ সালে মালেতে, এক আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে। সেটিতে ৫–০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় কিন্তু এই মালদ্বীপের বিপক্ষেই। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সাফ গেমসে তাদের ৮–০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে ১৯৮৪ সাফ গেমসে কাঠমান্ডুতে মালদ্বীপকে ৫–০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এই প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে মালদ্বীপকে পাচ্ছে বাংলাদেশ। সাফ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে এর আগে ১৯৮৬ ও ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারত, ১৯৯৪ বাছাইপর্বে শ্রীলঙ্কা ও ২০১৪ বাছাইপর্বে পাকিস্তান ছিল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে। সাফ অঞ্চল থেকে বেরিয়ে যাওয়া আফগানিস্তানকেও ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল বাংলাদেশ।