স্পেনের ফুটবলে অনেক দিন ধরেই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়ে আসছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এ নিয়ে অনেকবারই ভিনিসিয়ুস আর তাঁর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ অভিযোগ করে আসছে। ভিনিসিয়ুসের উদ্দেশে প্রতিপক্ষ দলগুলোর সমর্থকদের বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদ করে আসছেন তাঁর সতীর্থরাও। এমনকি স্পেনের বাইরে খেলা ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়েরা এর বিরুদ্ধে সরব।
আরও একবার স্পেনের দর্শক–সমর্থকদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ করলেন ভিনিসিয়ুস। এবার অবশ্য নিজের জন্য নয়, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এবার স্পেনের দর্শক–সমর্থকদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ এনেছেন তাঁরই স্বদেশি এক বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের জন্য।
জার্মানির বাস্কেটবল দল রাটিওফার্ম উলমে খেলেন ব্রাজিলের ইয়াগো দস সান্তোস। ইউরো কাপের ম্যাচ খেলতে তিনি দলের সঙ্গে স্পেনে গিয়েছিলেন। সেখানে স্পেনের দল জোভেনতুত বাদালোনার সমর্থকেরা তাঁর উদ্দেশে ‘বানর, বানর’ স্লোগান দেন। এটা নিয়ে ক্ষুব্ধ ভিনিসিয়ুস।
রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফরোয়ার্ড দস সান্তোসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কঠিন শাস্তি দাবি করে টুইটারে লিখেছেন, ‘এসব লোককে শাস্তি দেওয়া হোক। আর না হলে আমরা আগে যেমন ছিলাম, সে অবস্থায় ফিরে যাব। কিন্তু যখন পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারছি না, নিজেদেরই এসবের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
মাঠে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা প্রচুর ফাউল করেন। এ নিয়ে রিয়ালের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া সবার প্রতি দাবি জানিয়েছিলেন, ভিনিকে মাঠে রক্ষার জন্য কিছু একটা করতে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, ভিনিকে শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও রক্ষা করতে হবে। নয়তো মাঠে ও মাঠের বাইরে বিপদে পড়তে হবে রিয়ালকেই।
কোর্তোয়া বলেছিলেন, ভিনিসিয়ুসের খেলার ধরন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের পছন্দ হয় না। যার ফলে মাঠে রিয়ালকে অনেক বেশি ফাউলের শিকার হতে হয়। আর এভাবে ফাউলের শিকার হওয়ার কারণে ভিনিসিয়ুসকে মেজাজ হারাতে দেখা যায় হরহামেশা। ভিনি কার্ড দেখছেন নিয়মিত এবং এর প্রভাব পড়ছে রিয়ালের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে।
এ মৌসুমে লা লিগায় সব মিলিয়ে ভিনিসিয়ুস ফাউলের শিকার হয়েছেন ৭৯ বার। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে আর কোনো খেলোয়াড় এত বেশি ফাউলের শিকার হননি। ২০০৩–০৪ মৌসুমে লুইস ফিগোর পর প্রথম ২০ ম্যাচে রিয়ালের কোনো খেলোয়াড়ের জন্যও এটি রেকর্ড। পরিসংখ্যান বলছে, এ মৌসুমে প্রতি ২২ মিনিটে একবার করে ফাউলের শিকার হয়েছেন ভিনি। এর সঙ্গে মাঠের বাইরে থেকে দর্শক–সমর্থকদের বর্ণবাদী আচরণ তো আছেই!