কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই ইসরায়েলের। কিন্তু তাই বলে ইসরায়েলি ফুটবলপ্রেমীরা এবারের বিশ্বকাপ দেখতে পারবেন না, সেটি কীভাবে হয়! ইসরায়েলিদের বিশ্বকাপ দেখতে কাতার যাওয়ার ব্যবস্থা কাতারের সঙ্গে কথা বলে আগেই ঠিক করে রেখেছিল ফিফা। কাতারেরও আপত্তি নেই। ফ্যান টিকিট নিয়ে বা ইসরায়েলি পাসপোর্ট নিয়েই কাতারে প্রবেশ করতে পারবেন ইসরায়েলি ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু বিপত্তি বেধেছে অনলাইনে টিকিট কাটা নিয়ে। সেখানে ‘ইসরায়েল’ নামের দেশের অস্তিত্বই রাখেনি টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান। ‘ইসরায়েল’ নাম না দিয়ে রাখা হয়েছিল ‘অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ড’। সে কারণে ইসরায়েলি ফুটবলপ্রেমীরা ‘ফিলিস্তিনি’ পরিচয়ে টিকিট কাটতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ফিফার হয়ে অনলাইনে বিশ্বকাপ টিকিট বিক্রি করছে হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উইন্টারহিল হসপিটালিটি। টিকিট বুকিং প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দেখা যায় কয়েকটি দেশের নামই নেই। আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, জর্জিয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলের নামও উধাও। এ নিয়ে দেশগুলোর নাগরিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলের নাগরিকেরা আরও বেশি খেপেছেন নিজেদের দেশের নাম ‘অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ড’ বানিয়ে দেওয়ার কারণে। এ নিয়ে ফিফার কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। ইসরায়েলিদের দাবি, তাঁরা যেন কাতারে অন্য দেশের নাগরিকদের মতোই সমান সুযোগ–সুবিধা ও মর্যাদা পান।
ফিফাও এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থানই নিয়েছে। অনলাইনে যুক্ত হয়েছে ইসরায়েলের নাম। উইন্টারহিল হসপিটালিটির যে বিক্রয় প্রতিনিধি ‘অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ড’ লিখেছেন, তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি নাগরিকদের কাতারে প্রবেশের পাশাপাশি তাঁদের জন্য তেল আবিব থেকে দোহা ও অন্যান্য কাতারি শহরে আকাশপথে যাতায়াতের ব্যবস্থাও করেছে ফিফা। এ ব্যাপারে ফিফা ও কাতারের মধ্যে একটি বিমান চলাচল চুক্তিও হয়েছে।