উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি

চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র

রিয়াল–পিএসজির পথ কঠিন, সহজ লিভারপুলের

নতুন কাঠামোর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ড্র হয়ে গেল গতকাল। ৩৬টি দল খুঁজে পেয়েছে তাদের প্রথম পর্বের আট প্রতিপক্ষ। সেই সঙ্গে জেনেছে কার সঙ্গে ম্যাচ নিজেদের মাঠে আর কার সঙ্গে প্রতিপক্ষের মাঠে। স্বয়ংক্রিয় সফটওয়ারের মাধ্যমে লিগ পর্বের ম্যাচ নির্ধারিত হওয়ার পর এবার পালা লড়াইয়ের আগাম হিসাব–নিকাশের।

অংশগ্রহণকারী ৩৬ দলকে উয়েফা র‍্যাঙ্কিং মডেল অনুসারে চারটি পটে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতি পটে ৯ দল। এই দলগুলো চার পটের প্রতিটি থেকে ২টি করে প্রতিপক্ষ পেয়েছে। ২০২৪–২৫ চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বে ইউরোপের কিছু বড় দল কেমন করতে পারে, এ নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে ইএসপিএনসকার। দেখে নেওয়া যাক, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ এবার কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে পারে, ম্যানচেস্টার সিটিই–বা কতটা সহজ বা কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে পারে।

ম্যানচেস্টার সিটি

হোম: ইন্টার মিলান, ক্লাব ব্রুগা, ফেইনুর্দ, স্পার্তা প্রাহা
অ্যাওয়ে: পিএসজি, জুভেন্টাস, স্পোর্তিং লিসবন, স্লোভান ব্রাতিসলাভা

ম্যানচেস্টার সিটির সৌভাগ্য, প্রথম পটে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের সামনে পড়তে হয়নি। সামনে পড়েছে ইন্টার মিলান ও পিএসজি। এর মধ্যে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে অবশ্য বাড়তি সতর্কই থাকতে হবে পেপ গার্দিওলাকে। কারণ, ম্যাচটা খেলতে হবে প্যারিসে গিয়ে। যেখানে ২০২১ সালে গ্রুপ পর্বে খেলতে গিয়ে হারতে হয়েছিল। ২ নম্বর পটে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল জুভেন্টাস। সিটি শুধু জুভেন্টাসকে পায়ইনি, খেলতেও হবে তুরিনে গিয়ে। এ ছাড়া লিসবনের বিপক্ষে খেলতে পর্তুগালেও যেতে হবে সিটিকে। অর্থাৎ চার ম্যাচের তিনটিই সিটির জন্য চ্যালেঞ্জিং।

তবে গার্দিওলার জন্য ভালো দিক ইতিহাদের কোনো প্রতিপক্ষই অতি বিপজ্জনক নয়। ইন্টার মিলান, ক্লাব ব্রুগা, ফেইনুর্দ, প্রাহাকে হারাতে পারলে ১২ পয়েন্ট নিয়েই পরের ধাপে জায়গা হয়ে যেতে পারে। নিজেদের মাঠে সর্বশেষ ৩১টি ইউরোপিয়ান ম্যাচেই অপরাজিত সিটি।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: পয়েন্টে সেরা আটে থাকা উচিত। না থাকলে ব্যাপারটা হতাশার।

লিভারপুল

হোম: রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার লেভারকুসেন, লিল, বোলোনিয়া
অ্যাওয়ে: লাইপজিগ, এসি মিলান, আইন্দহফেন, জিরোনা

স্বয়ংক্রিয় না হয়ে যদি হাত দিয়ে দেখেশুনে ড্র করা হতো, এর চেয়ে ভালো হতে পারত না লিভারপুলের জন্য। আট প্রতিপক্ষের মধ্যে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ আছে, গত বছর অপরাজিত থেকে বুন্দেসলিগা জেতা বায়ার লেভারকুসেনও আছে। কিন্তু লিভারপুল দুটি ম্যাচই খেলবে নিজেদের মাটিতে। আবার অ্যাওয়েতে যে চার ম্যাচ, সেখানেও প্রতিপক্ষ হুমকি হয়ে ওঠার মতো নয়। সর্বোচ্চ ইতালির এসি মিলানই সান সিরো দর্শকদের নিয়ে কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। মোটের ওপর আর্নে স্লটের দল স্বপ্নের মতো এক ড্র–ই পেয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: আট ম্যাচেরই সব কটিই জেতার সম্ভাবনা আছে।

মোনাকোয় আয়োজন করা হয় ২০২৪–২৫ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র অনুষ্ঠান

আর্সেনাল

হোম: পিএসজি, শাখতার দোনেৎস্ক, দিনামো জাগরেব, মোনাকো
অ্যাওয়ে: ইন্টার মিলান, আতালান্তা, স্পোর্তিং লিসবন, জিরোনা

সর্বশেষ আসরে আর্সেনাল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে। এবার ১ নম্বর পটে বায়ার্ন থেকে ‘রক্ষা’ পেয়েছে গানাররা, সেই সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ থেকেও। কিলিয়ান এমবাপ্পেবিহীন পিএসজি প্রতিপক্ষ হলেও ম্যাচটি হবে এমিরেটসে। মিকেল আরতেতার দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অ্যাওয়েতে। সিরি আ চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান দুই বছর আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছে, তাদের মাঠে যেতে হবে আর্সেনালকে। ইতালিতে আরেকবার যেতে হবে আতালান্তার বিপক্ষে খেলার জন্য, যে দলটি গত বছর লেভারকুসেনকে হারিয়ে জিতেছে ইউরোপা লিগ।

এ ছাড়া আর্সেনালের আরেক অ্যাওয়ে প্রতিপক্ষ স্পোর্তিং লিসবন। পর্তুগালের এই দলটির কাছে ২০২৩ সালের মার্চে ইউরোপায় হেরেছিল আরতেতার দল, যার মধ্যে ছিল অ্যাওয়েতে ২–২ ড্র। এবার আর্সেনালের অ্যাওয়ে ম্যাচ নিয়ে শঙ্কায় থাকার আরেক কারণ গতবারের ফর্ম। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগে পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিততে পেরেছিল গানাররা।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: অ্যাওয়ে রেকর্ড ভালো করতে পারলে সহজেই পরের ধাপে চলে যাওয়ার কথা।

বায়ার্ন মিউনিখ

হোম: পিএসজি, বেনফিকা, দিনামো জাগরেব, স্লোভান ব্রাতিসলাভা
অ্যাওয়ে: বার্সেলোনা, শাখতার দোনেৎস্ক, ফেইনুর্দ, অ্যাস্টন ভিলা

পিএসজি এবং বার্সেলোনা—চ্যাম্পিয়নস লিগে চেনা দুই প্রতিপক্ষ পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। ২০২৩ সালে শেষ ষোলোয় পিএসজিকে ছিটকে দিয়েছিল বায়ার্ন, আর ২০২০ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সাকে ৮–২ গোলে বিধ্বস্ত করা তো টুর্নামেন্টেরই অন্যতম বড় ঘটনা। মজার বিষয়, চার বছর আগে বার্সেলোনাকে বিধ্বস্ত করার সময় বায়ার্নের ডাগআউটে ছিলেন যিনি, সেই হান্সি ফ্লিক এবার বার্সেলোনার কোচ। লিগ পর্বে আট ম্যাচের মধ্যে বায়ার্নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই একটিই, ম্যাচটাও অ্যাওয়েতে। প্রতিটি দল হোমে মোট ৪টি ম্যাচ খেললেও বায়ার্ন খেলবে পাঁচটি। কারণ, অ্যাওয়ে প্রতিপক্ষ ইউক্রেনের শাখতার দোনেৎস্ক নিজেদের হোম ভেন্যু বানিয়ে রেখেছে জার্মানির গেলসেনকারচেনকেই।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: পয়েন্ট তালিকার সেরা আটে থেকেই পরের ধাপে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই।

বার্সেলোনা

হোম: বায়ার্ন মিউনিখ, আতালান্তা, ইয়ং বয়েজ, ব্রেস্ত
অ্যাওয়ে: বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, বেনফিকা, ক্রাভেনা জেদজা, মোনাকো

আট দলের মধ্যে বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ, আর এই ম্যাচটিই নিজেদের মাঠে খেলবে তারা। গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলা বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের জন্য অবশ্য তাদের মাঠেই যেতে হবে। সাবেক বায়ার্ন কোচ হিসেবে হান্সি ফ্লিকের অবশ্য ডর্টমুন্ডে খেলার ভালো অভিজ্ঞতাই আছে। মোটের ওপর বার্সেলোনা খুশি হতেই পারে, অন্তত ১ নম্বর পট থেকে ম্যানচেস্টার বা লিভারপুল তো প্রতিপক্ষ হয়নি।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: পয়েন্ট তালিকার সেরা আটে থাকবে কি না, এখনই পরিষ্কার নয়। আর সেরা আটে না থাকলে পরের পর্বে যাওয়ার জন্য প্লে–অফ খেলতে হবে।

রিয়াল মাদ্রিদ

হোম: বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, এসি মিলান, সালজবুর্গ, স্টুটগার্ট
অ্যাওয়ে: লিভারপুল, আতালান্তা, লিল, ব্রেস্ত

সব দলই রিয়াল মাদ্রিদকে এড়াতে চায়, রিয়াল মাদ্রিদ কাকে এড়াবে? সম্ভাব্য কঠিন ড্র–ই হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। আট প্রতিপক্ষের মধ্যে সাতটিই ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে খেলে। জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সের দুটি করে, আর ইংল্যান্ডের একটি। রিয়ালের বড় পাঁচ লিগের বাইরের একমাত্র প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়ার সালজবুর্গ। প্রায় সব দল শীর্ষ লিগের হওয়ায় রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তাদের দেখা সাক্ষাতও একপ্রকার নিয়মিত।

সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালেই যেমন ডর্টমুন্ডের সঙ্গে দেখা হয়েছে। উয়েফা সুপার কাপে আতালান্তার সঙ্গে দেখা গত মাসেই। এ ছাড়া লিভারপুলের সঙ্গে দেখার সর্বশেষ স্মৃতি ২০১৮ ও ২০২২ সালে। এবারের আসরে কার্লো আনচেলত্তির দলের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাও ইংলিশ দলটির বিপক্ষেই, ম্যাচটিও হবেও অ্যানফিল্ডে।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: যে দল ম্যাচের নব্বই মিনিটে পিছিয়ে থাকলেও শেষ মুহূর্তে ঘুরে দাড়ায় এবং সেটা নিয়মিতই করে, সে দলকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা কে করবে!

পিএসজি

হোম: ম্যানচেস্টার সিটি, আতলেতিকো মাদ্রিদ, পিএসভি, জিরোনা
অ্যাওয়ে: বায়ার্ন মিউনিখ, আর্সেনাল, সালজবুর্গ, স্টুটগার্ট

কিলিয়ান এমবাপ্পে চলে যাওয়ায় এমনিতেই পিএসজির শক্তি কিছুটা কমে গেছে। এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম পর্বের ড্র সামনে এনে দিয়েছে কঠিন এবং অচেনা প্রতিপক্ষদের। ১ নম্বর পটে থাকা শীর্ষ তিন ক্লাবের দুটি (সিটি ও বায়ার্ন) এবং ২ নম্বর পটের দুটি সেরা ক্লাব (আর্সেনাল ও আতলেতিকো) পিএসজির প্রতিপক্ষ।

এর মধ্যে সিটির বিপক্ষে ম্যাচ প্যারিসে হলেও বাকি তিনটির জন্য মিউনিখ, লন্ডন এবং মাদ্রিদে যেতে হবে। আবার আট প্রতিপক্ষের মধ্যে আতলেতিকোর পাশাপাশি জিরোনা, সালজবুর্গ এবং স্টুটগার্টের বিপক্ষে পিএসজি এর আগে কখনোই খেলেনি।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: পরের পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে যথেষ্টই, তবে সেরা আটে থাকাটা কঠিন। সে ক্ষেত্রে প্লে–অফের ওপর নির্ভর করতে হবে।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র অনুষ্ঠানে ছিলেন টুর্নামেন্ট–ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও ইতালিয়ান কিংবদন্তি জিয়ানলুইজি বুফন

আতলেতিকো মাদ্রিদ

হোম: লাইপজিগ, লেভারকুসেন, লিল, স্লোভান ব্রাতিসলাভা
অ্যাওয়ে: পিএসজি, বেনফিকা, সালজবুর্গ, প্রাহা

চলতি মৌসুমে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে হুলিয়ান আলভারেজ, বার্সেলোনাল থেকে ক্লেমন্ত লেংলেট এবং চেলসি থেকে কনর গ্যালাঘাররা এসেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে ভালো কিছুর আশা করতেই পারে দিয়েগো সিমিওনের দল। তবে আতলেতিকোর অ্যাওয়ে সূচিটা সহজ নয়। পিএসজি, বেনফিকা ও সালজবুর্গ, তিনটি দলই নিজেদের মাঠে দর্শক সমর্থন নিয়ে বেশ শক্তিশালী। আবার মাদ্রিদে খেলতে আসা লেভারকুসেন, লাইপজিগকে থামানোও সহজ হবে না। তবে মাঝারি মানের দল নিয়েও আতলেতিকো যেভাবে বছরের পর বছর সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, তাতে সিমিওনের দলকে হালকা করে দেখার সুযোগও নেই।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: সম্ভাবনা আছে, তবে প্লে–অফে খেলতে হতে পারে।

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড

হোম: বার্সেলোনা, শাখতার দোনেৎস্ক, সেল্টিক, স্ত্রাম গ্রাজ
অ্যাওয়ে: রিয়াল মাদ্রিদ, ক্লাব ব্রুগা, দিনামো জাগরেব, বোলোনিয়া

ড্রর আগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ নুরি শাহিনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কার মুখোমুখি হতে চান। জবাবে তাঁর সাবেক দুই ক্লাব লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদের নাম বলেছিলেন শাহিন। লিভারপুলের নাম না উঠলেও রিয়াল মাদ্রিদের বেলায় তাঁর আশা পূরণ হয়েছে। যার অর্থ, মাত্র দুই মাস আগে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে হেরে যাওয়া রিয়ালের সঙ্গে আবারও খেলবে ডর্টমুন্ড, জুড বেলিংহামের তাঁর সাবেক দলের সঙ্গে দেখা হবে আবারও।

মাদ্রিদে রিয়াল ম্যাচ বাদে ডর্টমুন্ডের জন্য লিগ পর্বের ড্র মোটের ওপর অনুকূলই বলা চলে। বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ নিজেদের মাঠেই। এ ছাড়া সিগনাল ইদুনা পার্কে সহজেই জেতার কথা শাখতার, সেল্টিক ও গ্রাজের বিপক্ষে। অ্যাওয়ে ম্যাচেও তিনটিই জেতার মতো।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: পয়েন্ট তালিকার সেরা আটে থেকে পরের পর্ব নিশ্চিত করার সুযোগ যথেষ্টই।

লেভারকুসেন

হোম: ইন্টার মিলান, এসি মিলান, সালজবুর্গ, প্রাহা
অ্যাওয়ে: লিভারপুল, আতলেতিকো মাদ্রিদ, ফেইনুর্দ, ব্রেস্ত

গত মৌসুমের শেষ দিকে জাবি আলোনসোর লিভারপুল কোচ হওয়া নিয়ে ঢের আলোচনা হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি লেভারকুসেনেই থেকে গেছেন। এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য লিভারপুলে যেতে হবে আলোনসোকে। লেভারকুসেন কোচ দল নিয়ে যাবেন নিজের দেশ স্পেনেও, খেলবেন আতলেতিকোর বিপক্ষে। লিগ পর্বে লেভারকুসেনের বড় ম্যাচ এ দুটিই। বুন্দেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে মিলানের দুই দল ইন্টার ও এসি মিলানকে। দুটিই নিজেদের মাঠে। মোটের ওপর লেভারকুসেনের সামনে দশের বেশি পয়েন্ট তোলা খুব বেশি কঠিন হওয়ার কথা নয়, বিশেষ করে ব্রেস্ত, প্রাহা, সালজবুর্গ ও ফেইনুর্দের মতো দল যখন প্রতিপক্ষ।

শেষ ষোলোর সম্ভাবনা: পরের পর্বে যাওয়ার জন্য প্লে–অফে খেলতে হতে পারে।