মোট ধার, ব্যাংকের ঋণ এবং দলবদলের বাজারে খরচ মিলিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মোট দেনার পরিমাণ ৯৬ কোটি ৯৬ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১২ হাজার ৮২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কাল প্রকাশিত ত্রৈমাসিক (২০২২ সালের অক্টোবর–ডিসেম্বর) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।
তবে সুখবরও আছে। তিন বছর আগে করোনা মহামারি শুরুর পর এবারই প্রথম লাভের মুখ দেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অক্টোবর–ডিসেম্বর সময়ে ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার লাভ করেছে ইউনাইটেড, যদিও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মোট রাজস্ব আয় ছিল কম। এর আগে গত মৌসুমে (২০২১–২২) ১১ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৩৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা প্রায়) লোকসানের কথা বলেছিল ক্লাবটি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের গ্লেজার পরিবার ক্লাব বিক্রির কথা ভাবছে। বিবিসি জানিয়েছে, এই বিশাল অঙ্কের দেনা গ্লেজার পরিবারকে ইউনাইটেড বিক্রির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, আপাতত ইউনাইটেডের ‘কৌশলগত মূল্যায়ন’ করা হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পথ কীভাবে বের করা যায়, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গ্লেজার পরিবার।
বিবিসি জানিয়েছে, গত বছর ঠিক এই সময়ে ইউনাইটেডের মূল ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি ৭১ লাখ পাউন্ড। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ পাউন্ডে। এ ছাড়াও ‘রোলিং ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি’র অধীনে ২০ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড এবং দলবদলে খরচের জন্য আরও ২২ কোটি ৭৭ লাখ পাউন্ড ঋণ আছে ইউনাইটেডের। রোলিং ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি হচ্ছে একটি আইনি প্রতিশ্রুতি, যেখানে ব্যাংক একজন গ্রাহককে নির্দিষ্ট সময় ধরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের ঋণ দেয়।
ইউনাইটেড জানিয়েছে, সর্বশেষ প্রান্তিকে ক্লাবের স্পন্সরশিপ বাবদ আয় ৫ কোটি ছাড়িয়েছে, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৪৩.২ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া বেতন বাবদ খরচও কমেছে ২০.৯ শতাংশ। যার কারণ মূলত দলটির চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যাচ না থাকা।