ফুটবল খেলোয়াড়েরা সালাউদ্দিনের বাসায় গেছেন
ফুটবল খেলোয়াড়েরা সালাউদ্দিনের বাসায় গেছেন

সালাহউদ্দিনের বাসায় ফুটবলাররা

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় প্রতিদিনই সংস্কারের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন হচ্ছে। এসব আন্দোলনে এমন অনেক মুখও দেখা যাচ্ছে, যাঁরা গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখন তাঁরা ফেডারেশনের সংস্কার চান, অন্তর্বর্তী সরকার মনোনীত কমিটি গঠনেরও দাবি জানাচ্ছেন।

বিভিন্ন দাবিতে মাঠে থাকছেন খেলোয়াড়েরাও। আজ মঙ্গলবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের মূল ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত হকির সমাবেশে যেমন সাবেক খেলোয়াড়েরা ছিলেন, তেমনি বাফুফে ভবনে সমাবেশ করেছেন ফুটবলাররাও। প্রিমিয়ার লিগে সব ক্লাবের খেলা নিশ্চিত করতে পরে অনেকে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের বাসায়।

‘সন্ত্রাসী-আওয়ামী দালাল হটাও হকি বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে সমাবেশ করেছেন সাবেক হকি খেলোয়াড় ও সংগঠকেরা। তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল, হকি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির আওয়ামী দালাল, সন্ত্রাসী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ও গুলি বর্ষণকারী ক্যাসিনো সাঈদ, রশিদ শিকদার, রানা, খাজা মুন্না গংয়ের পদত্যাগ ও নতুন কমিটির গঠনের জন্য সাবেক হকি খেলোয়াড় ও সংগঠকেরা ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছেন।

সমাবেশে ছিলেন হকি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ এ এ আদেল, জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও ফেডারেশনের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ মামুন উর রশিদ, সাবেক খেলোয়াড় ও উষা ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কামালসহ আরও কয়েকজন।

হকি বাঁচানোর দাবিতে খেলোয়াড়–কর্মকর্তাদের সমাবেশ

সমাবেশ শেষে কামাল বলেন, গত নির্বাচনে এমন সব লোক ফেডারেশনে আনা হয়েছে, যাঁরা কখনো হকির সঙ্গে ছিলেন না। তাঁরা বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। অন্যদিকে যোগ্য অনেকের কাউন্সিলরশিপ বাতিল করা হয়। এই অবস্থায় হকির বর্তমান কমিটি বাতিল করে অ্যাডহক কমিটি করা উচিত।

আসন্ন ফুটবল মৌসুমে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ফুটবলারদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে বাফুফে ভবনে গিয়েছিলেন একদল সাবেক ফুটবলার। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব, আলফাজ আহমেদ, জাকির হোসেন, মাসুদ রানা, মোহাম্মদ সুজন, শহীদ হোসেন, সাইফুর রহমান, জাহিদ হাসান এমিলিসহ আরও অনেকেই। ছিলেন বর্তমান কয়েকজন খেলোয়াড়ও।

সাবেক খেলোয়াড় ও মোহামেডানের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব পরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবার ৩ থেকে ৪টি ক্লাব দল গড়বে না বলে শোনা যাচ্ছে। সেটা হলে এক-দেড় শ ফুটবলার দল পাবেন না। আমরা চাই সবাই ক্লাব পাক। দাবিটা আমরা বাফুফের সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানিয়েছি। পাশাপাশি আমরা চাই, এ বছর যেন বিদেশি রাখা না হয়।’ যদিও গতকাল সোমবার বাফুফের লিগ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে লিগে বিদেশি খেলোয়াড় খেলতে পারবেন।

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন

বাফুফে ভবন থেকে একদল ফুটবলার বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বাসায় গিয়ে দেখা করেন। তাঁদের একজন জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘লিগে সব ক্লাবের খেলা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছি সভাপতিকে। সভাপতি খেলোয়াড়দের সামনে বিভিন্নজনকে ফোন করেন। আমরা এখন শুনতে পাচ্ছি, শেখ জামালের খেলার সম্ভাবনা আছে। চট্টগ্রাম আবাহনীরও সম্ভাবনা আছে দল গড়ার। ফলে একটা আশা তৈরি হয়েছে।’

সালাহউদ্দিনের বাসায় গিয়েছিলেন সাবেক খেলোয়াড় জাকির হোসেন, গোলাম গাউস, মাসুদ রানা, আতাউর রহমান, বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম, শহিদুল আলম, ডিফেন্ডার রায়হান হাসান, রেজাউল করিম, ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম।