বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও উন্মাদনার কমতি নেই। প্রিয় দল, প্রিয় ফুটবলারদের নিয়ে সবারই আছে আবেগ আর প্রত্যাশা। আছে বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক স্মৃতিও। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের বিশ্বকাপ-ভাবনা নিয়েই এ আয়োজন। আজ শুনুন আবাহনী লিমিটেডের ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলির কথা—
বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে আপনার প্রথম স্মৃতি কী?
এলিটা কিংসলি: ১৯৯৪ বিশ্বকাপের কথা ভালোভাবে মনে আছে। তখন আমি ছোট। নাইজেরিয়ায় আমাদের বাড়ির সামনে একটা বাগান ছিল। সেখানে বড় পর্দায় পাড়ার লোকজনদের বিশ্বকাপ দেখার ব্যবস্থা করতাম আমরা। সবাই অনেক আনন্দ করে বিশ্বকাপ দেখত।
কিন্তু নাইজেরিয়া হারলে আনন্দটা নিশ্চয়ই বিষাদে পরিণত হতো...
কিংসলি: সে আবার বলতে! হারলে মন খারাপ হতো অনেক। তবে আমরা নাইজেরিয়ার জন্য গলা ফাটাতাম। জিতলে সবার আনন্দ দেখে কে! ১৯৯৮ বিশ্বকাপে পরপর দুবার নাইজেরিয়া নকআউটে উঠে যায়। স্পেনকে আমরা ৩-২ গোলে হারিয়েছিলাম। তখন গোটা দেশ উৎসব করেছে। আমরা পাড়ার বন্ধুরা মিলে অনেক মজা করেছি।
আপনার প্রথম বিশ্বকাপ নায়ক কে?
কিংসলি: নাইজেরিয়ার বাইরে ব্রাজিলের রোমারিওর কথা বেশি মনে আছে। বেবেতোর খেলাও তখন ভালো লেগেছিল।
নাইজেরিয়ার হয়ে কখনো বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখেছেন?
কিংসলি: ফুটবলাররা এ স্বপ্ন দেখে। তবে আগে জাতীয় দলে খেলতে হবে। আমিও চেয়েছিলাম নাইজেরিয়ার জার্সিতে খেলতে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, নাইজেরিয়ার হয়ে খেলতে পারিনি।
নাইজেরিয়ার কোনো বয়সভিত্তিক দলে ডাক পেয়েছেন কখনো?
কিংসলি: নাইজেরিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলে ডাক পাই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য। কিন্তু চোটের কারণে চূড়ান্ত দলে ঢুকতে পারিনি। খুব খারাপ লেগেছিল তখন।
নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব ছেড়ে আপনি বাংলাদেশি হয়েছেন। এখন বাংলাদেশে বসে বিশ্বকাপ দেখছেন। কী বুঝছেন, কারা চ্যাম্পিয়ন হবে?
কিংসলি: আমি চাই আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হোক। তাই বলে ভাববেন না আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমি ব্রাজিলের সমর্থক। মেসির জন্যই চাইছি, এবার কাপটা কাতার থেকে নিয়ে যাক আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলে মেসি টুর্নামেন্ট–সেরা বা সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারবেন মনে হয়?
কিংসলি: এটা বলা যাচ্ছে না। মেসি হতে পারে বা এমবাপ্পে। ফাইনালে আগপর্যন্ত দুজনেরই ৫টি করে গোল। তবে আমার মনে হয়, পুরস্কার দুটি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি মেসিরই।