১৮ ডিসেম্বরের পর থেকে ফুটবলের গল্পটা লেখা হচ্ছে নতুনভাবে। শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে যেটুকু সন্দেহ ছিল, সেদিন বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে তা–ও মিটিয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতার রেশ এখনো শেষ হয়নি।
আর্জেন্টিনায় উৎসবের আমেজটা হয়তো থেকে যাবে আরও অনেক দিন। বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তটা আর্জেন্টাইনরা স্মরণ করছে নানাভাবে। এমনকি দেশটির নবজাতকদের নামেও খোদাই হয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক সেই ক্ষণ!
যেখানে সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানদের নাম রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছেন একজন মানুষ। কারও কারও কাছে তিনি আবার অতিমানবও। নামটা বলে না দিলেও চলছে। সেই নামটি হলো, লিওনেল মেসি।
সান্তা ফে প্রদেশের সিভিল রেজিস্ট্রি অনুসারে, গত ডিসেম্বরে জন্ম নেওয়া প্রতি ৭০ জন শিশুর একজনকে লিওনেল কিংবা লিওনেলা নামে নিবন্ধিত করা হয়েছে। যার উৎস মূলত আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এই সান্তা ফে প্রদেশের রোজারিও শহরে জন্ম মেসির।
জানা গেছে, নবজাতকের জন্য মেসির নাম পছন্দ করার হার বেড়েছে ৭০০ শতাংশ। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে এই নামের নবজাতকের সংখ্যা ছিল ৬ জন করে। এই সংখ্যা ৩০ দিনে বেড়ে ৪৯–এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু মেসির নামেই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনা দলের অন্য তারকাদের নামে নাম রাখার প্রবণতাও বেড়েছে অনেক।
সান্তা ফে প্রদেশের সিভিল রেজিস্ট্রি অফিসের পরিচালক মারিয়ানো গালভেজ বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনা দলের অন্য খেলোয়াড়দের নামেও নবজাতকদের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে। যেমন হুলিয়ান কিংবা এমিলিয়ানো। তবে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে লিওনেল নামে।’
বিশ্বকাপ জেতা কিংবা বড় সাফল্য পাওয়া খেলোয়াড়দের নামে নাম রাখার ধারাটা অবশ্য বেশ পুরোনো। শুধু বিশ্বকাপ জেতা দেশেই নয়, অন্য দেশগুলোতেও নাম রাখার ক্ষেত্রে এই প্রভাব দেখা যায়। বাংলাদেশেও জিকো, রসি কিংবা জিদান নামগুলোর উৎসও তাই।
এই তো কদিন আগে প্রকাশিত এক খবরে দেখা গিয়েছিল, ২০২২ সালে পেরুতে ৭৩৮ জন নবজাতকের নাম রাখা হয়েছিল পেলের নামে। সামনের দিনেও যে মেসির নামে বড় হতে থাকা শিশুদের সংখ্যা বাড়বে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।