কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশে ফিরে উদ্যাপন করার জন্য যথেষ্ট সময় তাঁকে দিয়েছে ক্লাব। আর্জেন্টিনায় শিরোপা জয়ের উদ্যাপন শেষে পর্তুগালে ফিরেওছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ-বিরতির পর বেনফিকার প্রথম ম্যাচটিতে খেলেছেন এনজো ফার্নান্দেজ। ৩০ ডিসেম্বর লিগে ব্রাগার মাঠে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়া সেই ম্যাচের পর আবার আর্জেন্টিনায় চলে যান বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডার। কিন্তু এরপর আবার পর্তুগালে ফিরলেও গত পরশু লিগে পোর্তিমোনেন্সের বিপক্ষে বেঞ্চেও ছিলেন না ফার্নান্দেজ।
এমনিতে ফার্নান্দেজের দলবদল নিয়ে কথা হচ্ছে। শুরুতে তাঁকে পাওয়ার দৌড়ে ছিল লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। হঠাৎ এই দুই দলের সঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডারকে পাওয়ার দৌড়ে নামে চেলসি। এমনও খবর এসেছিল যে ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে বেনফিকা আর ফার্নান্দেজ একমত হয়েছেন। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, এ কারণেই হয়তো পোর্তিমোনেন্সের বিপক্ষে তাঁকে দলে রাখেননি কোচ রজার শ্মিট। যদি আবার সমর্থকেরা তাঁকে দুয়ো-টুয়ো দেন!
তবে ফার্নান্দেজের গত পরশু দলে না থাকার কারণটা জানা গেল ম্যাচের পর। ১-০ গোলে জয়ের পর কারণটি জানিয়েছেন বেনফিকার কোচ শ্মিট। তিনি যা বলেছেন, সেটার সারমর্ম একটাই—শাস্তি হিসেবে পোর্তিমোনেন্সের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াড থেকে ফার্নান্দেজকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
কী এমন অপরাধ করেছেন ফার্নান্দেজ যে তাঁকে শাস্তি হিসেবে স্কোয়াডের বাইরে রাখা হলো। ব্রাগার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে থার্টি ফার্স্টের পার্টি করার জন্য আর্জেন্টিনায় যাওয়ার আবেদন করেছিলেন ফার্নান্দেজ। ক্লাব তাঁকে সেই অনুমতি দেয়নি। তাই কাউকে কিছু না বলে তিনি থার্টি ফার্স্টের পার্টি করতে চলে যান আর্জেন্টিনায়। এর জন্যই তাঁকে শাস্তি পেতে হয়েছে বলে জানালেন শ্মিট।
ম্যাচ শেষে বেনফিকার কোচ বলেছেন, ‘এনজোর আর্জেন্টিনায় যাওয়ার অনুমতি ছিল না। সে দুটি ট্রেনিং সেশন মিস করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ শ্মিট এরপর যোগ করেন, ‘এনজো ফার্নান্দেজ যা করেছে, তা ঠিক নয়। এ কারণেই আজ সে এ ম্যাচে নেই। এখন তার সবকিছু পরিষ্কার। আমার বলতে ভালো লাগছে যে আগামীকাল (আজ) সে আমাদের সঙ্গে অনুশীলন করবে। সে এমন একজন খেলোয়াড়, শিরোপা জয়ের জন্য যাকে আমাদের খুব দরকার।’