একই সঙ্গে শুরু হয়েছে ম্যাচ দুটি, বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায়। দুটি ম্যাচের শুরুই ছিল নাটকীয়। ফুলহামের বিপক্ষে আর্সেনাল ৫৭ সেকেন্ডেই গোল খেয়ে বসে। আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২ মিনিটে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে খায় প্রথম গোল, ৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের মধ্যে পিছিয়ে পড়ে ২-০ গোলে।
এভাবে পিছিয়ে পড়ার পরও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড লিখেছে প্রত্যাবর্তন দারুণ গল্প, নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে পরে ৩-২ গোলে জিতেছে এরিক টেন হাগের দল। আর্সেনাল অবশ্য জিততে পারেনি, তবে ফুলহামের সঙ্গে ড্র করেছে ২-২ গোলে।
ফুলহামের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আর্সেনাল গত মৌসুমের শুরু থেকে প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে ২১ খেলার মাত্র ৪টিতেই নিজেদের জাল সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে। এবারও ঘরের মাঠে নিজেদের পোস্ট সেভাবে রক্ষা করতে পারছে কই গানাররা!
মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এমিরেটসে নটিংহামের বিপক্ষে জিতলেও গোল খেয়েছে আর্সেনাল। আজ আবার ঘরের মাঠে গোল খেল। এই নিয়ে এক বর্ষপঞ্জিতে তিন ম্যাচে প্রথম মিনিটের মধ্যে গোল খেল তারা। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এক বছরে তিনটি ম্যাচের প্রথম মিনিটে গোল খাওয়া প্রথম দল আর্সেনাল।
এমন শুরুর পর অবশ্য ভেঙে পড়েনি আর্সেনাল। গোল শোধে মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ করে গেছে। তবে প্রথমার্ধে কাঙ্ক্ষিত গোল পায়নি তারা। অবশেষে আর্সেনাল সমতায় ফেরে ৭০ মিনিটে, বুকায়ো সাকার পেনাল্টি গোলে।
২ মিনিট পরই এগিয়ে যায় আর্সেনাল। বক্সের বাইরে থেকে ফাবিও ভিয়েইরার পাসে আর্সেনালকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেন এডি এনকেতিয়াহ। এরপর মনে হচ্ছিল আর্সেনাল আরেকটি জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে যাচ্ছে। কিন্তু খেলার স্রোতের বিপরীতে ৮৭ মিনিটে গোল খেয়ে বসে তারা।
আগের ম্যাচে টটেনহামের কাছে হেরে যাওয়া ইউনাইটেডকে হার চোখ রাঙাচ্ছিল এ ম্যাচেও। কিন্তু ৪ মিনিটের মধ্যে ২-০তে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠেন রাশফোর্ড-ফার্নান্দজেরা। গোলও পেয়ে যায় তারা ১৭ মিনিটে। মার্কাস রাশফোর্ডের পাস থেকে গোলটি করেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ৫২ মিনিটে কাসেমিরোর গোলে সমতায় ফেরে তারা। আর ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইউনাইটেডের জয়সূচক গোলটি করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
এই জয়ের পর ৩ ম্যাচে ইউনাইটেডের পয়েন্ট হলো ৬। আর ফুলহামের সঙ্গে ড্র করা আর্সেনাল ৩ ম্যাচ থেকে পেয়েছে ৭ পয়েন্ট।