ইন্টার মায়ামির জার্সিতে মাঠ মাতাচ্ছেন লিওনেল মেসি
ইন্টার মায়ামির জার্সিতে মাঠ মাতাচ্ছেন লিওনেল মেসি

মায়ামির জার্সিতে মেসিকে দেখে ‘অদ্ভুত লাগছে’ বার্সা সভাপতির

লিওনেল মেসি ইন্টার মায়ামির জার্সি পরে খেলছেন, তা দেখে অদ্ভুত লাগছে বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তার। মেসির গায়ে বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনা ছাড়া অন্য যেকোনো দলের জার্সি কারও কারও মনে অদ্ভুত অনুভূতির জন্ম দেয়। লাপোর্তা তাদের একজন।

পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে ‘মুক্ত’ মেসি কোথায় যাবেন, এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা হয়েছিল বিস্তর। বিশ্বখ্যাত এক সংবাদ সংস্থা তো বলেই দিয়েছিল মেসি সৌদি আরবে যাচ্ছেন। সেখানকার এক ক্লাবের সঙ্গে নাকি মেসির কথাবার্তা পাকা। সৌদি আরব থেকে মেসির জন্য বিশাল অঙ্কের এক প্রস্তাব ছিল। সবাই দুইয়ে দুইয়ে চারও মিলিয়ে ফেলেছিল। মেসি যেতে পারতেন তাঁর পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনাতেও

আর্জেন্টাইন তারকার বার্সেলোনায় ফেরা মানে ছিল ‘ঘরে ফেরা’। সেটি নিয়ে নানা ধরনের কথা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজটিই হয়নি। আর্থিক সংগতি নীতি ও লা লিগার বেতন নীতি মাথায় রেখে এমন দামি ফুটবলারকে কীভাবে ফেরানো হবে, সেই পথরেখাই করে উঠতে পারেনি বার্সেলোনা। মেসির সৌদি-যাত্রা নিয়ে গুঞ্জন যখন চড়া, তখনই দৃশ্যপটে উদয় ঘটে ইন্টার মায়ামির। মেসিও কাউকে ঘুণাক্ষরেও কিছু বুঝতে না দিয়ে বেছে নেনে মায়ামিকেই।

মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর বার্সেলোনা সভাপতির প্রতিক্রিয়াটা নিশ্চয়ই মনে আছে? লাপোর্তা ‘কম গুরুত্বপূর্ণ লিগে’ খেলার বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবার তাচ্ছিল্য নয়, মেসি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেললে তা লিগের মান বৃদ্ধিতে দারুণ অবদান রাখবে বলেই মনে করেন বার্সা সভাপতি, ‘মায়ামিতে খেলাটাই মেসির জন্য ভিন্ন কিছু। সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবেশ। এই লিগে মেসি, জর্দি আলবা, বুসকেতসরা খেললে তা মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’

বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা

মেসির গায়ে ইন্টার মায়ামির জার্সি দেখে কেমন লেগেছে, সেটাও বলেছেন লাপোর্তা, ‘কেমন যেন এক অনুভূতি, বেশ অদ্ভুত। আমরা মেসিকে বার্সেলোনার জার্সিতে চিনি। মেসির সব সমর্থকেরাই তাকে এভাবেই চেনে। কারণ, সে ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়ই যে বার্সেলোনায় কাটিয়েছে।’ বার্সার মূল দলে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য প্রায় সব শিরোপাই জিতেছেন মেসি।

মেসি মায়ামিতে গেছেন, এ নিয়ে কোনো ক্ষোভ নেই লাপোর্তার, ‘এটা পুরোপুরি তাঁর সিদ্ধান্ত। আমরা তাঁর নিজের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের ভালো চাই। বার্সেলোনায় সে কম বয়সে এসেছিল। ১৪ বছরের সেই ছেলেটা এরপর ২০ বছর আমাদের ক্যাম্প ন্যুতে কাটিয়েছে। আশা করি, সে মায়ামিতে সুখেই থাকবে।’