মৌসুম শেষ হওয়ার আগে থেকে হ্যারি কেইনের দলবদল নিয়ে চলছিল নানা গুঞ্জন। সে সময় তাঁর রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল সবচেয়ে বেশি। এমনকি দুই পক্ষের আলোচনাও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়। এর মধ্যে করিম বেনজেমা রিয়াল ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিহাদে যাওয়ার পর কেইনের জন্য রিয়ালে আসার পথটা আরও উন্মুক্ত হয়। এরপর অবশ্য কেইনকে নিয়ে আগ্রহীদের তালিকায় যুক্ত হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
মে মাসের শেষ দিকে কেইনকে নিয়ে আগ্রহী ক্লাবের তালিকায় বায়ার্ন মিউনিখের নামও শোনা যায়। সে সময় অবশ্য রিয়াল কিংবা ইউনাইটেডকে তাঁর পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে এখন এসে পরিস্থিতি বদলে গেছে। একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম বলছে, রিয়াল বা ইউনাইটেডে নয়, কেইনের বায়ার্নে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। কেইনের জন্য টটেনহামকে নাকি ৭ কোটি ইউরো প্রস্তাব করেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
গত মৌসুমে রবার্ট লেভানডফস্কি বায়ার্ন ছাড়ার পর বিপাকে পড়ে বায়ার্ন। সাদিও মানেকে তারা লিভারপুল থেকে নিয়ে এলেও, লেভার ও তাঁর খেলার ধরন ছিল ভিন্ন। নিজেদের স্কোরিং শক্তি বাড়াতেই তারা মূলত কেইনকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন কেইন নিজেও নাকি বায়ার্নে আসার ব্যাপারে সবুজসংকেত দিয়ে দিয়েছেন ‘বাভারিয়ান পরাশক্তি’দের।
এর আগে ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ডের কোনো ক্লাবে যাওয়ার সম্ভাবনাকেই জোরালো ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। তবে কেইনকে কোনো ইংলিশ ক্লাবে বিক্রি না করার ব্যাপারে টটেনহামের অনড় অবস্থানের কারণে এ লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়ে ইউনাইটেড। আর অন্য দিকে রিয়াল ব্যস্ত হয়ে পড়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে। যে সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেইনকে ভেড়ানোর জন্য মাঠে নামেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল।
এখন কেইন ও টুখেল দুজনই নাকি মিউনিখের ক্লাবটির হয়ে জুটি গড়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তবে এ প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টটেনহাম। তারা নাকি বায়ার্নের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। আরও এক মৌসুম তারা কেইনকে ধরে রাখতে চায়। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কেইনের ভবিষ্যৎ কোথায় নির্ধারিত হয়, তা জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।