লিওনেল মেসি ও পিএসজি—উভয়ের জন্যই মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। শিরোপা জয়ের জন্য পিএসজির প্রয়োজন ছিল ১ পয়েন্ট, মেসির ১ গোল। মেসির ১ গোলেই স্ত্রাসবুর্গের সঙ্গে ১-১-এ ড্র করে ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’-তে ১১তম শিরোপা জিতেছে প্যারিসের ক্লাবটি। পিএসজিকে ড্র এনে দেওয়া গোলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একটি রেকর্ডও ভাঙলেন মেসি।
এ মৌসুমে লিগ ‘আঁ’তে মেসি সবচেয়ে বেশি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। মেসির কাছ থেকে ১১ গোলে সরাসরি সহায়তা পেয়েছেন পিএসজির ফরাসি তারকা। এবার এমবাপ্পের পাসে দলকে শিরোপা জেতালেন মেসি, টপকে গেলেন রোনালদোকে।
ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের মধ্যে এত দিন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডে যৌথ মালিকানা ছিল মেসি-রোনালদোর। দুজনেরই গোল ছিল ৪৯৫টি করে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে গোল করে রোনালদোর সেই রেকর্ড টপকে রেকর্ডটি শুধুই নিজের করে নিলেন মেসি (৪৯৬ গোল)। এটা পিএসজির হয়ে মেসির ৩২তম গোল। আর এটি মেসির ক্যারিয়ারের ৪৩তম শিরোপা। যা কিনা কোনো খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়। মেসির সমান ৪৩ শিরোপা আছে শুধু ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার দানি আলভেজের।
এদিন স্ত্রাসবুর্গের মাঠে ৫৯ মিনিটে মেসির এই গোলেই লিড নেয় পিএসজি। পরে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে কেভিন গামেইরো সমতায় ফেরান স্ত্রাসবুর্গকে। পিএসজির শিরোপা নিশ্চিত করার পথে অবশ্য সেটি কোনো বাধা হয়নি। ম্যাচ থেকে পাওয়া এক পয়েন্টই পিএসজিকে এনে দিয়েছে আরেকটি লিগ শিরোপা।
এই জয়ের পর ৩৭ ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট এখন ৮৫। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাঁসের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ৮১। হাতে থাকা এক ম্যাচ দিয়ে পিএসজিকে আর ছোঁয়া সম্ভব হবে না লাঁসের। তাই এক ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ জয় নিশ্চিত করল ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল।
দদলকে লিগ শিরোপা জেতানোর পরও অবশ্য গালতিয়েরের পিএসজি-ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। গুঞ্জন আছে, নতুন মৌসুম শুরুর আগেই ছাঁটাই হতে পারেন এই কোচ। এ ছাড়া মেসি, এমবাপ্পে, নেইমার—তিনজনেরই ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার গুঞ্জন আছে। ম্যাচ শেষে গালতিয়ের অবশ্য লিগ জেতানোকেই বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন।
পিএসজি কোচ বলেছেন, ‘বিকেলে আমি বুন্দেসলিগার শেষ দিনের খেলা দেখছিলাম। সেটি দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন, লিগ জেতা কতটা কঠিন; সেটা যে লিগই হোক না কেন। এবার ইউরোপিয়ান লিগের সব চ্যাম্পিয়ন দলকেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তাই আমাদের এটা মনে করা উচিত নয় যে শিরোপা জেতাটা সহজ ব্যাপার। এমনকি সেটা যদি আমাদের পিএসজির মতো দল হলেও।’