ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো জয়ের আনন্দে ভাসছে স্পেন। বার্লিনে আজ শেষ বাঁশি বাজতেই শুরু হয়ে যায় লাল–উৎসব। তবে এই শিরোপা জয়ের আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে দুই স্প্যানিশ ফুটবলারের জন্য। এই দুই তারকা হলেন রদ্রি ও লামিনে ইয়ামাল। ইউরোজুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ রদ্রি জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
অন্য দিকে একের পর এক রেকর্ড ভাঙা ইয়ামাল হয়েছেন ইউরোর সেরা তরুণ খেলোয়াড়। ম্যাচ শেষে ব্যক্তিগত ও দলীয় প্রাপ্তি মিলিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন এ দুজন। ইয়ামালের কাছে ইউরো জয় যেন স্বপ্নের মতো, আর রদ্রির আনন্দ ইতিহাস গড়ার।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইউরো খেলতে এসেছিলেন ইয়ামাল। দুই দিন আগে পালন করেছেন ১৭তম জন্ম দিন। আর এই বয়সেই জিতে নিয়েছেন ইউরোপ সেরার স্বীকৃতি। এমন অর্জন স্বপ্নের মতোই লাগছে ইয়ামালের কাছে, ‘আমি খুবই আনন্দিত। এটা স্বপ্নের মতো। আমি স্পেনে ফিরতে এবং সমর্থকদের সঙ্গে উদ্যাপনে মাততে উন্মুখ হয়ে আছি। এটা আমার জন্মদিনের সেরা উপহার।’
ইংল্যান্ড সমতায় ফেরার পর কেমন অনুভূতি হয়েছিল সেটা জানিয়ে ইয়ামাল বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড সমতায় ফেরার পর কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আমি জানি না এই দল কী দিয়ে তৈরি। তবে আমরা সব সময় ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য দেখিয়েছি।’
ইয়ামালের মতো রদ্রির আনন্দটাও দ্বিগুণ। ইউরোর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা যে ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডারই জিতেছেন। শিরোপা জয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা ইতিহাস গড়েছি কিন্তু আমরা এখানেই থামছি না। আমরা দলে অনেক প্রতিভা আছে, আমরা এগিয়ে যাব। আমরা যা জিতেছি সেটার জন্য উদ্যাপন করাটা প্রাপ্য।’
হ্যাঁ, স্পেনের সময়টা এখন উদ্যাপনেরই। ইউরোপের মঞ্চে আগামী চার বছর রাজত্বটা যে তাদের দখলেই থাকবে।