সমর্থকদের চোখে এটি বার্সেলোনার কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করার ম্যাচ। ক্লাব প্রশাসকদের চোখেও তা–ই। তবে নাপোলিকে হারিয়ে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আরও একটা অর্থ আছে কর্তৃপক্ষের কাছে—দেড় কোটি ইউরোর সংস্থান।
চ্যাম্পিয়নস লিগে একেকটি ধাপ এগিয়ে যাওয়া মানে দলগুলোর আয় বেড়ে যাওয়া। আর আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করা বার্সেলোনার জন্য যেকোনো বাড়তি আয়ই বিশেষ প্রাপ্তির। তবে কাতালুনিয়া ক্লাবটির অতি আত্মবিশ্বাস বলুন বা পরিহাস বলুন, কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার মাধ্যমে যে আয়ের ব্যবস্থা হয়েছে, সেটি এরই মধ্যে খরচের খাতায়ও ঢুকে গেছে।
মঙ্গলবার রাতে নাপোলিকে হারানোর আগে বার্সেলোনা সর্বশেষ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে ২০২০ সালে। মাঝের তিন বছরে ফুটবলাররা ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় যেমন ভালো করতে পারেননি, তেমনি মাঠের বাইরে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়ও হিমশিম খেয়েছেন কর্মকর্তারা। আয়ের বিপরীতে বিপুল দেনা হওয়ায় চাওয়ামতো খেলোয়াড় কেনা তো যায়ইনি, উয়েফা আর্থিক সংগতি নীতি লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় ক্লাবকে।
স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্ত জানিয়েছে, আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা বার্সেলোনা চলতি অর্থবছরের যে আয়-ব্যয়ের হিসাব কষে রেখেছে, সেখানে সম্ভাব্য আয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে ধরে নিয়ে।
কাতালুনিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির হিসাব অনুসারে, চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ আটে ওঠার মাধ্যমে বার্সেলোনা উয়েফা থেকে পাবে ১ কোটি ৬ লাখ ইউরো। এ ছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগের একটি নিজেদের মাঠে হবে বলে সেখান থেকে টিকিট ও অন্যান্য বাবদ আয় হবে আরও ৫০ লাখের মতো। তবে এটি আগেই বাৎসরিক বাজেটে আয়ের খাতে ঢুকে যাওয়ায় বিশেষ লাভ হচ্ছে না বার্সেলোনার। সেমিফাইনালে উঠলেই ক্লাবের আয়-ব্যয়ে ইতিবাচক সংযোজন ঘটবে।
স্পোর্তের খবরে বলা হয়, হোয়ান লাপোর্তার নেতৃত্বাধীন বার্সেলোনার বোর্ড অব ডিরেক্টরস অনুমোদিত বাজেটে ২ কোটি ৭০ লাখ ইউরো ঘাটতি আছে। এর মধ্যে দেড় কোটি ইউরো আয়ের খাতে, আর ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো ব্যয়ের খাতে। ব্যয়গুলো হয়েছে জাভি ও তাঁর স্টাফদের মেয়াদ নবায়ন এবং জানুয়ারিতে ভিতর রকিকে চুক্তিবদ্ধ করানো থেকে। ক্লাবের প্রাক্কলিত আয়ের মধ্যে স্টেডিয়াম থেকে পর্যাপ্ত অর্থ এখনো আসেনি। বার্সেলোনা বর্তমানে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে খেলছে। ক্লাবের নিজস্ব ভেন্যু ক্যাম্প ন্যুতে সংস্কার চলছে।