সিটির গোল উদযাপন
সিটির গোল উদযাপন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

হলান্ড-আলভারেজদের কাছে এবারও পাত্তা পেল না কোপেনহেগেন, শেষ আটে সিটি

ম্যান সিটি ৩ : ১  কোপেনহেগেন

কোপেনহেগেন থেকে আগের লেগটা ম্যানচেস্টার সিটি জিতে এসেছিল ৩-১ গোলে। আজ ইতিহাদে বিরতিতে যাওয়ার আগেই আবারও ৩-১ করে ফেলল পেপ গার্দিওলার দল। তারমানে দুই লেগ মিলিয়ে তখন ৬-২ ব্যবধানে এগিয়ে সিটি।

এই ম্যাচের বাকি ৪৫ মিনিট যদি সিটির খেলোয়াড়েরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও পার করে দিতেন, তাহলেও তাঁদের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া আটকাতো না।

সিটি ঘুমিয়ে না কাটালেও আর গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধ শেষেই তাই ফল ৩-১ রয়ে গেল। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ ব্যবধানে জিতে শেষ আটে উঠে গেল ইউরোপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সিটির পরের ম্যাচটাই লিভারপুলের বিপক্ষে, রোববার অ্যানফিল্ডে। সে কারণেই কি না আজ কেভিন ডি ব্রুইনা, ফিল ফোডেন, কাইল ওয়াকারদের বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। হয়তো বড় ম্যাচের আগে দলের গুরুত্বপূর্ন কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিতে চেয়েছেন।

হলান্ডের গোল উদযাপন

তাতে অবশ্য মাঠে সিটির দাপট কমেনি। বরং পঞ্চম মিনিটেই হুলিয়ান আলভারেজের পাস থেকে করা ম্যানুয়েল আকাঞ্জির গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এর চার মিনিট পরেই আলভারেজ নিজেই নাম তুললেন স্কোরশিটে।

ম্যাচ আসলে তখনই নাগালের বাইরে চলে গেছে কোপেনহেগেনের। তবে ইতিহাদে স্বাগতিক সমর্থকদের চমকে দিয়ে ২৭ মিনিটে ড্যানিশ উইঙ্গার মোহাম্মদ এলিওনোসির গোলে ২-১ করে কোপেনহেগেন। কিন্তু বিরতির আগেই রদ্রির দুর্দান্ত এক পাস থেকে আর্লিং হলান্ডের গোলে আবার ব্যবধান বেড়ে ৩-১। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে টানা ৯ ম্যাচ অন্তত ৩টা করে গোল করা প্রথম ক্লাব সিটি।

আলভারেজের গোলের উচ্ছ্বাস

বিরতির আগের ওই গোলটা দিয়েই চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল সংখ্যায় সিটির কিংবদন্তি সের্হিও আগুয়েরোকে ছুঁয়ে ফেলেন হলান্ড। ইউরোপের সবচেয়ে অভিজাত ক্লাবগুলোর এই লড়াইয়ের মঞ্চে আগুয়েরোর গোল ৭৯ ম্যাচে ৪১। হলান্ড তাঁকে ছুঁলেন মাত্র ৩৭ ম্যাচে!

এর মধ্য এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৭ ম্যাচে ৬ গোল হয়ে গেছে নরওয়রেজীয় স্ট্রাইকারের। হ্যারি কেইন, কিলিয়ান এমবাপ্পের পাশাপাশি এখন তিনিও যৌথভাবে এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ।