বাংলাদেশ–ভারত অনূর্ধ্ব–১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ছিল নানা নাটকীয়তা
বাংলাদেশ–ভারত অনূর্ধ্ব–১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ছিল নানা নাটকীয়তা

সাফ অনূর্ধ্ব ১৯ নারী ফুটবল

বাংলাদেশ-ভারত: দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার নেপথ্যে যা ঘটেছিল

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলের ফাইনালে ম্যাচ কমিশনারের অদ্ভুতুড়ে টস কাণ্ডের পর ভারতকে প্রথমে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর বাংলাদেশ বেঁকে বসে। ম্যাচ কমিশনার তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টালে ভারত আর টাইব্রেকারে অংশ নিতে রাজি হয়নি। সে নিয়ে চলে আড়াই ঘণ্টার অচলাবস্থা।

বৃহস্পতিবার রাতে কমলাপুর স্টেডিয়ামে এই ঘটনার পূর্বাপর জানতে চাইলে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ভারত কোনোভাবেই যুগ্ম চ্যাম্পিয়নশিপে রাজি ছিল না। তাদের বক্তব্য হলো, ম্যাচ কমিশনার টস করে জয়ী দল ঘোষণা করে দিয়েছেন। সেটা আর বদল করা যাবে না।’

যুগ্ম চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত রাজি না হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী ছিল? সাফের সাধারণ সম্পাদক বলে যান, ‘এই অবস্থায় আমরা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে ও জেনারেল সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা জানতে চান কেন এমন হলো? আমি বললাম, এটা তো আমাদের দোষ না। ম্যাচ কমিশনার ভুল করেছে। আর ভুল হলে সেটা সংশোধনের সুযোগ আছে। ক্রিকেটে তো হচ্ছে। ফুটবলেও হতে পারে। দু দল তো স্টেডিয়ামেই ছিল। কিন্তু তারপরও ভারতের ম্যানেজার রাজি হচ্ছিলেন না যুগ্ম চাম্পিয়ন ঘোষণায়। কারণ যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন নেই বাইলজে।’

বাংলাদেশ ও ভারতের অধিনায়ক, সহঅধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান

এমনকি ফাইনাল আবার আয়োজনের প্রস্তাবও নাকি দেওয়া হয় ভারতকে। তাতে তারা রাজি হয়নি। আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘ভারতকে আমরা প্রস্তাব দিলাম যে, এই ফাইনালটা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আবার নতুনভাবে আয়োজন করতে পারে সাফ। কিন্তু ভারত তাতে রাজি হয়নি। কারণ, তাদের দেশে ফেরার টিকিট আগে থেকে কাটা আছে। ঢাকায় বেশি সময় থাকতে হলে নানা সমস্যা। ফলে সেই প্রস্তাব তারা গ্রহণ করেনি।'

তাহলে জট খুলল কীভাবে? জানা গেছে, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির একটা ভূমিকা ছিল তাতে। ভূমিকা রেখেছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও। আনোয়ারুল হকের ভাষায়, ‘একটা সিদ্ধান্তে তো আসতেই হতো। শেষমেশ ভারত রাজি হয়েছে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে। এটাই স্বস্তির। তবে ভবিষ্যতে যেন এমন অবস্থা না হয় সাফ সতর্ক থাকবে।'