কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, মোহাম্মদ সালাহকে দলে ভেড়াতে চায় সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিহাদ। সে জন্য নাকি ১৮ কোটি ইউরোর প্রস্তাবও দিয়েছে ক্লাবটি। কিন্তু সালাহর সৌদি আরবের ক্লাবে যাওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দেয় তাঁর এজেন্ট র্যামি আব্বাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তিনি জানান, ‘সালাহ লিভারপুলের প্রতি দায়বদ্ধ। যদি সে এ বছর দল ছাড়ে, তবে আমরা গত বছর তার চুক্তি নবায়ন করতাম না।’
এবার সালাহর দলবদল নিয়ে কথা বলেছেন সৌদি ক্লাব আল ইত্তিফাকের কোচ স্টিভেন জেরার্ডও। লিভারপুল কিংবদন্তি জেরার্ড ক্লাবটির তারকা সালাহকে এই ক্লাবে আনার ব্যাপারে কী ভাবছেন, তা নিয়েও মন্তব্য করেছেন।
এবারের দলবদলেই লিভারপুল থেকে রবার্তো ফিরমিনো, ফাবিনিও ও জর্দান হেন্ডারসনের মতো তারকারা সৌদি ক্লাবে যোগ দিয়েছেন। সে তালিকায় সম্ভাব্য পরবর্তী নাম হিসেবে সালাহর কথাও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু লিভারপুল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকাকে পাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর এজেন্ট।
এদিকে সালাহকে আল ইত্তিফাক কিনতে চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জেরার্ড বলেছেন, ‘না না না। উত্তর হচ্ছে নাহ। কারণ, সালাহ আমার পছন্দের খেলোয়াড়। আমি লিভারপুল ফুটবল ক্লাবকে ভালোবাসি। তাই মোহাম্মদ সালাহ যেখানে আছে, সেখানে থাকতে পারে। যখন সে লিভারপুলের হয়ে আরও লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবে, তখন হয়তো আমরা তাকে বিবেচনা করবে।’
সালাহকে আপাতত বিবেচনা না করলেও লিভারপুল অধিনায়ক জর্দান হেন্ডারসনকে কিন্তু ঠিকই নিয়ে এসেছেন জেরার্দ। লিভারপুল ছেড়ে হেন্ডারসনের আল ইত্তিফাকে আসা নিয়ে কথাও হয়েছে অনেক। এই দলবদল নিয়ে জেরার্ড বলেছেন, ‘হেন্ডারসনকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বোর্ডের যাঁরা যুক্ত ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ। সে নতুন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় ছিল এবং তার আরও কয়েক বছর ভালো কিছু দেওয়ার আছে।’
এ সময় হেন্ডারসনকে দলে আনার কারণ ব্যাখ্যা করে জেরার্ড বলেছেন, ‘আমরা এমন কাউকে চাচ্ছিলাম, যে কি না মাঠেই কোচের ভূমিকা নিতে পারবে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, যে তার মত দিতে পারে এবং যে কিনা সত্যিকার অর্থে উচ্চ মান ও অভিজাত মানদণ্ড তৈরি করতে পারবে। আমরা চাই, তরুণ খেলোয়াড়েরা জর্দানের কাছ থেকে শিখুক এবং তাকে দেখে বেড়ে উঠুক।’