টানা তিন উইন্ডোতে রেকর্ড গড়া প্রিমিয়ার লিগের জানুয়ারির দলবদলে খেলোয়াড় কেনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এবারের দলবদলে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো যে অর্থ খরচ করেছে, তা যা এক যুগের মধ্যে লিগটির সর্বনিম্ন।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এবারের শীতকালীন উইন্ডোতে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে ফ্রান্সের লিগ আঁ। ২০১১ সালের এই প্রথম ইউরোপের সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা ক্লাবের জায়গায় নেই প্রিমিয়ার লিগ।
হিসাবরক্ষণ পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ডেলয়েট বলছে, এবারের দলবদলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০টি দল মাত্র ১০ কোটি পাউন্ডের খেলোয়াড় কিনেছে, যা গত বছরের এ সময়ে ছিল ৮১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রিমিয়ার লিগে খরচ কমেছে ৭১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড।
কোভিড মৌসুম বাদ দিলে ২০১১–১২ সালের পর আর কখনোই এত কম খরচ করেনি প্রিমিয়ার লিগ। এক যুগের আগের ওই সময়ে সব কটি দল মিলে কিনেছিল ৬ কোটি পাউন্ডের খেলোয়াড়।
সাধারণত দলবদলের শেষ দিনে বেশি খেলোয়াড়ের বেচাকেনা হয়। অর্থও খরচ হয় প্রচুর। কাল এবারের দলবদলের শেষ দিনে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো খরচ করেছে ৩ কোটি পাউন্ড, যা ১২ মাস আগে ছিল ২৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড।
এবারের উইন্ডোতে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো খেলোয়াড় কিনেছে ১৭ জন, ১৩ জন নিয়েছে ধারে।
অবশ্য জানুয়ারির দলবদলে খরচ কম হলেও ২০২৩–২৪ মৌসুম এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়ের মৌসুম হয়ে গেছে। মৌসুমের শুরুতে গ্রীষ্মকালীন দলবদলেই দলগুলো ২৩৬ কোটি পাউন্ড খরচ করেছিল।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে জানুয়ারির দলবদলে দুইয়ে প্রিমিয়ার লিগ। সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ২০ লাখ খরচ করেছে ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ–র দলগুলো। সিরি আঁ–র খরচ ৮ কোটি ৫০ লাখ, বুন্দেসলিগা ও লা লিগায় ৭ কোটি করে।
সব মিলিয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ এবার খেলোয়াড় কেনা বাবদ খরচ করেছে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ, যা গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ২১ কোটি ৮০ লাখ।
প্রিমিয়ার লিগের মতো খরচ কম করেছে গত উইন্ডোতে হইচই ফেলে দেওয়া সৌদি প্রো লিগও। গ্রীষ্মে ৮৫ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড খরচ করা লিগটি এবার খেলোয়াড় কিনেছে মাত্র ২ কোটি ১৩ লাখের।
ডেলয়েটের স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের লিড পার্টনার টিম ব্রিজ প্রিমিয়ার লিগে খরচ কম হওয়ার দুটি কারণ তুলে ধরেছেন, ‘টানা তিনটি রেকর্ড গড়া উইন্ডোর পর প্রিমিয়ার লিগের এবারের খরচ খুবই কম। গ্রীষ্মে ভাবনাচিন্তা করে বড় খরচের দিকে ঝুঁকেছে ক্লাবগুলো। পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগে আর্থিক নীতির ওপর বাড়তি মনোযোগের ভূমিকা আছে।’