ইউরোর এবারের আসরে যাঁদের দিকে সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাঁদের অন্যতম। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ইউরো খেলতে যাওয়া রোনালদোর সামনে আছে একাধিক রেকর্ডের হাতছানিও। তবে ব্যক্তিগতভাবে রোনালদো রেকর্ডের পরিবর্তে শিরোপাটাই জিততে চান বেশি করে।
২০১৬ সালে দেশের হয়ে ইউরো জেতার স্বাদ পেয়েছেন ‘সিআর সেভেন।’ এখন পর্তুগালকে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরো জেতার স্বাদ দিতে পারলে সেটি রোনালদোর জন্য দারুণ কিছুই হবে। সম্প্রতি ইউরো সামনে রেখে এক সাক্ষাৎকারে ইউরো জেতার জন্য মরিয়া হয়ে থাকার কথা বলেছেন তিনি। বলেছেন, এই প্রজন্মের খেলোয়াড়েরা ইউরো জেতার দাবিদার। পাশাপাশি দলকে জেতানোর জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন রোনালদো।
ইউরোতে রোনালদোর পাশাপাশি পর্তুগালকে প্রতিনিধিত্ব করবেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বের্নার্দো সিলভা, রুবেন দিয়াজ ও দিয়েগো জোতাদের মতো ক্লাব ফুটবল মাতানো তারকারা। তাঁদের হাতে ইউরোর ট্রফি দেখতে চান জানিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই প্রজন্ম ইউরো জেতার দাবিদার। সেমিফাইনাল? আমি আশা করি আমরা আরও বেশি দূর যেতে পারব।’
সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি ধাপ পেরোতে চান জানিয়ে রোনালদো আরও বলেছেন, ‘আমাদের ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করতে হবে। এখন পর্যন্ত যেভাবে কাজ করেছি, সেভাবে করে যেতে হবে।’
এবারের ইউরোতে অনেকগুলো রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার সুযোগ আছে রোনালদোর। তবে রেকর্ডের দিকে না তাকিয়ে খেলাটাকে উপভোগ করার কথা জানিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি ফুটবল উপভোগ করছি। এর ফলাফল হিসেবে রেকর্ড আসবেই। রেকর্ড আমার লক্ষ্য নয়, যা হওয়ার নিজের নিয়মেই হবে। এটা আমার ষষ্ঠ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। দারুণভাবে আমি টুর্নামেন্টটা উপভোগ করতে চাই। ভালো খেলার পাশাপাশি চাই দলকে জয় এনে দিতে। শুরুটা ভালো করাটা জরুরি।’
দলকে শিরোপা এনে দিতে প্রস্তুত জানিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি প্রস্তুত। আমি এই প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি। উদ্বেগ সব সময় থাকে। আতঙ্ক কাজ করে, বিশেষ করে ম্যাচের আগের দিন। আমি আনন্দিত যে আমি অনুভব করছি। যখন আমি এটা অনুভব করব না, তখন থেমে যাওয়াই ভালো হবে। আমি উৎসাহী অনুভব করছি। আমি দলকেও বেশ শান্ত দেখছি।’