অনুশীলন শুরু করেছেন রোমারিও। ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বৃহস্পতিবার ১৬ বছরের মধ্যে প্রথমবার অনুশীলন করলেন। আবারও পেশাদার ফুটবলের ফেরার জন্যই এই অনুশীলন ফুটবল ছাড়ার পর রাজনীতিতে নাম লেখানো ব্রাজিল তারকার। অনুশীলনে নিজের স্ট্রাইকার-সত্তার প্রমাণ দিতে বেশি সময় নেননি ৫৮ বছর বয়সী রোমারিও। রিও ডি জেনিরো ক্লাব আমেরিকার অনুশীলনে দুটি গোলও করেছেন ক্লাবটি সভাপতি রোমারিও।
রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা এ বছর রিও রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় বিভাগে খেলবে। রোমারিওর ছেলে রোমারিনিও খেলেন এই ক্লাবেই। অনুশীলন শেষে রোমারিও জানালেন ছেলের সঙ্গে ম্যাচ খেলাই তাঁর মূল লক্ষ্য, ‘আমার সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হলো আমার ছেলের সঙ্গে খেলার সুযোগ করে নেওয়া। অনেক খেলোয়াড়েরই এই লক্ষ্য আছে। (বাস্কেটবল) লেব্রন জেমস তাঁর ছেলের সঙ্গে আগামী বছর (এনবিএতে) খেলতে চায়। রিভালদোর তো এই সুযোগ হয়েছে। আমার চাওয়াও এটি।’
চাঁছাছোলা কথা বলার জন্য খেলোয়াড়ি জীবনে কুখ্যাতি ছিল রোমারিওর। পেলে, জিকো ও মারিও জাগালোর মতো ব্রাজিলের সাবেক কিংবদন্তিও রেহাই পাননি তাঁর সমালোচনা থেকে। এবার সেই রোমারিও অল্পবিস্তর সমালোচনা করলেন নিজেরও।
কাল অনুশীলনের পর নিজের শারীরিক সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ‘বুড়ো’ রোমারিও বললেন, ‘আমি খুব ক্লান্ত পড়েছি। একটু পরে হয়তো স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর অনুশীলন না করা একজনের জন্য এটাই তো স্বাভাবিক। দৌড়াতেই তো পারছিলাম না।’
পেশাদার ফুটবলে ফিরলেও যে সেটি নামকাওয়াস্তে হবে সেটিও জানিয়ে দিলেন রোমারিও, ‘আমি স্পষ্টভাবেই একটা কথা জানিয়ে দিতে চাই—আমি পুরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলব না। আমার পরিকল্পনা হলো কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলা। সবার ওপরে হলো আমেরিকার স্বার্থ।’
আগামী ১৮ মে লিগে প্রথম ম্যাচ খেলবে আমেরিকা। ২০২৩ সালে ক্লাবের সভাপতি হওয়া রোমারিওর চাওয়া ক্লাবটিকে রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম স্তরে তোলা। যেখানে ফ্লামেঙ্গো, ফ্লুমিনেন্স, ভাস্কো দা গামা ও বোতাফোগোর মতো বিখ্যাত সব ক্লাব খেলে থাকে।
কাল অনুশীলনে ছোট মাঠ বানিয়ে দুই দলে বিভক্ত হয়ে খেলে রোমারিওর দল। সেখানেই দুই গোল করেছেন তিনি। আর সেই দুই গোলেই পাওয়া গেছে পুরোনো রোমারিওকে। দুটি গোলই রোমারিও করেছেন পেনাল্টি বক্সে গোলের খুব কাছ থেকে নিখুঁত শট নিয়ে।
খেলোয়াড়ি জীবনে পেনাল্টি কিক নিতে পছন্দ করতেন না রোমারিও। তবে ৫৮ বছর বয়সে সেই ধারণা থেকে সরে আসার ঘোষণাই দিলেন তিনি। তবে সেটি মজা করেই বললেন রোমারিও, ‘যদি পেনাল্টি পাই, আমাদের ক্লাবের সভাপতিই নেবেন সেটি। কোচ যদি বারণ করে তবে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে। যেভাবেই হোক সভাপতিই পেনাল্টি নেবেন।’