‘পয়েন্টের বর্তমান ব্যবধানটা মৌসুম শেষে হয়তো অর্থহীন হয়ে যাবে। এ রকম তো হামেশাই দেখে এসেছি’-সের্হিও আগুয়েরো কথাটা বলেছেন গত সপ্তাহে। আর্জেন্টিনার সাবেক ফরোয়ার্ড কথাটা বলেছিলেন প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে লিভারপুলের ৮ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে। হয়তো তিনি নিজের সাবেক ক্লাব ম্যান সিটিকে সাহস জোগাতেই এমনটা বলেছিলেন। কিন্তু গত রোববার লিভারপুল নিজেদের মাঠে সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্যবধানটা আরও বাড়িয়েছে।
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল লিভারপুলের সঙ্গে পঞ্চম স্থানে থাকা সিটির পয়েন্ট ব্যবধান এখন ১১। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালও লিভারপুলের চেয়ে পিছিয়ে আছে ৯ পয়েন্টে। ১৩ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের পয়েন্ট ৩৪, আর্সেনালের ২৫ ও সিটির ২৩। আর্সেনালের সমান ২৫ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি আছে তিন নম্বরে আর ব্রাইটন ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে।
পয়েন্টের ব্যবধানটা এ রকম হওয়ার পর অনেকেই ইতিহাস ঘাঁটতে শুরু করে দিয়েছেন। ইতিহাস কী বলে—মৌসুমের শুরুর দিকে কত পয়েন্ট এগিয়ে থাকলে সেই দল নিরাপদে শিরোপা জিততে পারে! ইতিহাস আসলে বলে, মৌসুমের শুরুতে কোনো ব্যবধানই তেমনভাবে অনতিক্রম্য নয়। মৌসুমের কোনো পর্যায়ে এর কাছাকাছি পয়েন্ট বা এর চেয়ে বেশি পিছিয়ে থেকেও শিরোপা জেতার উদাহরণ কম নয়। খোদ ম্যানচেস্টার সিটিরই এমন কীর্তি আছে বেশ কয়েকবার।
ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশাল ব্যবধান ঘুচিয়ে শেষ পর্যন্ত শিরোপা জেতার সে রকম কিছু উদাহরণ থাকছে এখানে, যা হতে পারে সিটির বড় প্রেরণা।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৮ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল নরউইচ
প্রথম ১৭ ম্যাচে মাত্র ৭টি ম্যাচ জিতেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এক ম্যাচ বেশি খেলে সেই সময় ইউনাইটেডের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল শীর্ষে থাকা নরউইচ সিটি। তবে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগ প্রিমিয়ার লিগ নাম হওয়ার পর প্রথম মৌসুমের শিরোপা শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি নরউইচ। বরং দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলার চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতেছিল ইউনাইটেড। আর মৌসুমের শুরুতে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা নরউইচ হয়েছে তৃতীয়। সে মৌসুমে ইউনাইটেড পেয়েছিল ৮৪ পয়েন্ট, অ্যাস্টন ভিলা ৭৪ ও নরউইচ ৭৪।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২৩ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল নিউক্যাসল
সমঝদাররা এটাকে ইউনাইটেডের দারুণ প্রত্যাবর্তন নাকি নিউক্যাসলের অদ্ভুত ধস বলবেন? মৌসুমের বেশির ভাগ সময়ই সেবার শিরোপা লড়াইটা ছিল দুই ঘোড়ার—নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও লিভারপুলের। ২৩ ম্যাচ শেষে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল নিউক্যাসল। সমান ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল যথাক্রমে লিভারপুল ও ইউনাইটেড। ১৯৯৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর নিউক্যাসল–ইউনাইটেড যখন মুখোমুখি হয়, নিউক্যাসল ১০ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। জানুয়ারিতে সেই ব্যবধান আরও বেড়ে হয় ১২। কিন্তু ফিরতি ম্যাচে আবার যখন তারা পরের বছরের মার্চে মুখোমুখি, পয়েন্টের ব্যবধান কমে হয়ে গিয়েছিল চার। ম্যাচ জেতে ইউনাইটেড। শিরোপা জিততে হলে লিগের শেষ ম্যাচ দিবসে টটেনহামকে হারাতে হতো নিউক্যাসলের আর মিডলসবরোর কাছে হারতে হতো ইউনাইটেডকে। কিন্তু ইউনাইটেড ৩–০ গোলে জেতে আর নিউক্যাসল করে ১–১ গোলে ড্র এবং শিরোপা যায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৮ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল লিভারপুল
১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৬–এ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার অবস্থাটা ছিল এ রকম—১৮ ম্যাচ খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলে দ্বতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ছিল ৩৫। ১৬ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে ছিল ইউনাইটেড। ১০ পয়েন্টের ব্যবধান ঘুচিয়ে সেই মৌসুমে ইউনাইটেড শিরোপা নিয়ে যায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
চ্যাম্পিয়ন: আর্সেনাল
২০ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
এবার পালা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পিছলে পড়ার। ১৯৯৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল ইউনাইটেড। এক ম্যাচ কম খেলে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের অবস্থান ছিল ছয় নম্বরে। কিন্তু লিগে নিজেদের শেষ ১৮ ম্যাচে ১৫টি জয় আর ৩ ড্রয়ে শিরোপা ঘরে তোলে আর্সেনালই। লিগের এই সময়ে শীর্ষে থাকা দলের চেয়ে ১৩ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা দলের শিরোপা জয়ের রেকর্ড এটা।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৪ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল আর্সেনাল
২০০১–০২ থেকে ২০০৩–০৪; এই তিন মৌসুমে তিনটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাই জিততে পারত আর্সেনাল। কিন্তু একটি তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্দান্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অথবা এটাও বলা যায় যে পিছলে পড়ার ভয়ানক উদাহরণ তৈরি করে ২০০২–০৩ মৌসুমের শিরোপা হাতছাড়া করেছে আর্সেনাল। সেই মৌসুমে ইউনাইটেড সমর্থকদের স্লোগান ছিল একটাই—আমরা আমাদের ট্রফি ফেরত চাই! কিন্তু ২০০২ সালের ১৬ নভেম্বরও শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল ইউনাইটেড। ১৪ ম্যাচে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ছিল ৩২ আর ১৩ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটে ছিল পঞ্চম স্থানে। কিন্তু বক্সিং ডেতে মিডলসবরোর কাছে হারার পর ১৫টি জয় ও তিনটি ড্রয়ে ইউনাইটেড সমর্থকদের স্বপ্ন পূরণ করে শিরোপা ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফেরায় অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল। আর্সেনালও নিজেদের শেষ ২১ ম্যাচের মাত্র দুটিতেই হেরেছিল। কিন্তু হাইবুরিতে ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্র আর মে মাসে লিডসের কাছে হারই সর্বনাশ করেছে তাদের।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার সিটি
৩২ ম্যাচ শেষৈ ৮ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২০১২ সালের ১০ এপ্রিল ৩২ ম্যাচ শেষে লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ৮। ইউনাইটেডের পয়েন্ট ছিল ৭৯, সিটির ৭১। কিন্তু ইউনাইটেড তাদের শেষ ছয় ম্যাচের একটিতে উইগানের কাছে হারে, একটিতে এভারটনের সঙ্গে ৪–৪ গোলে ড্র করে এবং আরেকটিতে ইতিহাদে সিটির কাছে ১–০ গোলে হেরে যায়। সব মিলিয়ে শিরোপা জয়ের জন্য নিজেদের শেষ ম্যাচে সিটির সামনে হিসাব দাঁড়িয়েছিল অবনমনের শঙ্কায় থাকা কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের সঙ্গে জিততে হবে। তাদের হারিয়ে শিরোপা জেতে সিটি।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার সিটি
৩৫ ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল লিভারপুল
২০ এপ্রিল ২০১৪, প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকা দেখে তখন কে ভাবতে পেরেছিল যে ম্যানচেস্টার সিটি সেবার শিরোপা জিতবে! ৩৫ ম্যাচে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ছিল ৮০। ৩৩ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল সিটি। ৯ পয়েন্টের ব্যবধান ছিল, কিন্তু সিটির হাতে আবার ম্যাচও ছিল দুটি বেশি। তা হোক, ২৪ বছরের মধ্যে প্রথম লিগ শিরোপা জয়ের হাতছানি পাওয়া লিভারপুলের তো আর তিনটি ম্যাচ ভালো করলেই হতো। ৩৩তম ম্যাচে সিটি সান্ডারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করায় কাজটা আরও সহজ হয়ে গিয়েছিল লিভারপুলের। সিটি এরপর সর্বোচ্চ ৮৬ পয়েন্টই পেতে পারত। ফলে লিভারপুলকে শেষ তিন ম্যাচে দুটি জয় আর একটি ড্র পেলেই হতো। সিটি নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচ জিতলেও ১ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতত লিভারপুল। কিন্তু সেটা তারা পারেনি, শিরোপা উঠেছে সিটির হাতে। শেষ তিন ম্যাচের একটিতে চেলসির কাছে হেরে যায় তারা, ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে ড্র করে আর নিউক্যাসলের বিপক্ষে জেতে। আর সিটি তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচের সব কটিতেই জিতেছে।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার সিটি
২০ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল লিভারপুল
অনেকেই বলতে পারেন, ২০১৮–১৯ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ রোমাঞ্চের চূড়া ছুঁয়েছে। ম্যানচেস্টার সিটি আর লিভারপুল প্রায় পয়েন্টের সেঞ্চুরি করে ফেলেছিল। লড়াইটাও হয়েছে দুর্দান্ত। লিভারপুলকে মাত্র ১ পয়েন্টে পেছনে ফেলে সেবার শিরোপা জেতে সিটি। তবে সিটির শুরুটা এ রকম ছিল না মোটেই। ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পয়েন্ট তালিকার চেহারাটা ছিল অন্য রকম—২০ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল লিভারপুল, এক ম্যাচ কম খেলে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে টটেনহাম। ১৯ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে সিটি তৃতীয় স্থানে। সেবার লিভারপুল লিগে মাত্র একটি ম্যাচ হারলেও শিরোপা জিততে পারেনি। একটা দল ৩৮ ম্যাচে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেও শিরেপা জিতল না—এটা একটু অদ্ভুতই। তবে তাদের এমন অবস্থা হয়েছৈ শীতের শেষ দিকে ছয় ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই ড্র করে লিভারপুলের অবস্থা এমন হয়েছে। আর লিগের দ্বিতীয়ার্ধে সিটি ১৮ ম্যাচে মাত্র একটিই হেরেছে। সব মিলিয়ে ৯৮ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পেপ গার্দিওলার সিটি।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার সিটি
১৪ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল লিভারপুল
২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর, প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকাটা ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকদের জন্য মোটেই সুখকর ছিল না। ১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে সিটি ছিল অষ্টম স্থানে। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুতই বদলাতে থাকে বড়দিনের পর। বড়দিনের পর নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ব্রমউইচের সঙ্গে ড্র করে লিভারপুল। পরের ১৩ ম্যাচের মাত্র তিনটিতেই জিততে পারে তারা। এর মধ্যে আছে ঘরের মাঠে রেকর্ড টানা ছয়টি হার। অন্যদিকে সিটি বক্সিং ডের পর টানা ১৩ ম্যাচে জয় পায়। এভাবেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করে গার্দিওলার দল।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার সিটি
২৯ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল লিভারপুল
এবার ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্টের ব্যবধান ঘোচানোর ওস্তাদির শিকার আর্সেনাল। ২০২৩ সালের এপ্রিলেও প্রিমিয়ার লিগ ট্রফির ঝিলিক চোখে পড়ছিল আর্সেনালের কোচ–খেলোয়াড়দের। ২০২৩ সালের ৭ এপ্রিল প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার চেহারা ছিল এ রকম—২৯ ম্যাচ খেলে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল আর্সেনাল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ছিল ২৮ ম্যাচে ৬৪। কিন্তু মৌসুমে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচের একটিতে হার ও একটিতে ড্রর আগে টানা ১২ জয়ে শিরোপা ঘরে তোলে সিটি।
চ্যাম্পিয়ন: ম্যানচেস্টার সিটি
১৯ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে ছিল লিভারপুল
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩—১৯ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল, ১৭ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে সিটি। পয়েন্ট তালিকার এ অবস্থা হয়তো সিটির সমর্থকদের মোটেই বিচলিত করেনি। কারণ, এত দিনে যে গার্দিওলার সিটি পয়েন্ট ব্যবধান ঘুচিয়ে শিরোপা জিতে নিজেদের ‘ওস্তাদ’ বানিয়ে ফেলেছে। এবারও হলো তাই। নিজেদের শেষ ২১ ম্যাচের ১৮টি জিতে এবং তিনটি ড্র করে ঠিকই শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে সিটি।
সিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর গার্দিওলা দেখিয়েছেন ৮, ৯ বা ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকেও কীভাবে মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত খেলে ব্যবধান ঘুচিয়ে শিরোপা জেতা যায়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে নাকি আরও একবার! সময়ই দেবে এর উত্তর।