শেষ হওয়ার পথে আরেকটি বছর—২০২৪। কেমন ছিল খেলার এই বছর? ধারাবাহিক বর্ষপরিক্রমায় আজ ফিরে দেখা যাক দেশের ফুটবল।
অপেক্ষার অবসান। বছরের অন্তে এসেছে সুখবরটা। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে ফিফার অনুমতি পেয়েছেন হামজা চৌধুরী । সাবিনা খাতুনরা সাফ শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়ার পর ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির তারকাকে পাওয়া বিদায়ী বছরে বড় প্রাপ্তিই বাংলাদেশের ফুটবলে।
তবে মাঠে জামাল ভূঁইয়াদের প্রাপ্তি প্রায় শূন্যই। ৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলে মাত্র ২টিতে জয় ভুটান ও মালদ্বীপের সঙ্গে। ৬ হারের ৪টি ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিন (২টি), অস্ট্রেলিয়া ও লেবাননের কাছে। বাকি দুই হার ভুটান ও মালদ্বীপের সঙ্গে। ২০১৬ সালে ভুটানের কাছে প্রথম হারের আট বছর পর সেই দুঃস্মৃতি ফিরে এসেছে। তবে মেয়েদের জাতীয় দলের পরিসংখ্যানটা বেশ ভালো। ৮ ম্যাচে ৫ জয়। এক ড্র, দুটি হার। সাফের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা।
বিদায়ী বছরে বয়সভিত্তিক ফুটবলে এসেছে তিনটি শিরোপা। প্রথমটি অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের সাফে। দ্বিতীয়টি মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২০ সাফে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে। অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের সেরা মোছাম্মদ সাগরিকা। অনূর্ধ্ব-২০ ছেলেদের বিভাগে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
মাঠের বাইরে এসেছে বড় পরিবর্তন। বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা বাফুফে থেকে কাজী সালাহউদ্দিনের বিদায়। ২৬ অক্টোবের বাফুফের নির্বাচনে সভাপতি পদে পঞ্চমবার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েও নানা সমালোচনায় শেষ পর্যন্ত সরে যান। বাফুফেতে তাঁর ১৬ বছরের আলোচিত-সমালোচিত অধ্যায় শেষ হয়েছে এভাবেই। সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী, সহসভাপতি কাজী নাবিলরাও বিদায় নিয়েছেন। ‘নতুন বাফুফের’ নতুন সভাপতি হয়েছেন সাবেক ফুটবলার তাবিথ আউয়াল।
৫ আগস্ট দেশে পটপরিবর্তনের পর স্পনসররা সরে যাওয়ায় শেখ জামাল-শেখ রাসেলের মতো ক্লাব দল গড়েনি ঘরোয়া লিগে। বিপ্লবের আগে মে মাসে টানা পঞ্চমবার পেশাদার লিগ জিতে রেকর্ড গড়েছে বসুন্ধরা কিংস, বিদায়ী মৌসুমে জিতেছে লিগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপের ট্রেবলও।