৪৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মুর্শিদা
৪৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মুর্শিদা

বাংলাদেশকে ১১৯ পর্যন্ত নিতে পারলেন মুর্শিদা

মাঝের ধস সামলে সিরিজে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১১৯ রান পর্যন্ত নিয়ে যেতে সহায়তা করলেন মুর্শিদা খাতুন। নবম ব্যাটার হিসেবে রানআউট হওয়া এই ওপেনার খেলেছেন ৪৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। তবে ৬ রানে ‘জীবন’ পেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে। মুর্শিদা না থাকলে বাংলাদেশ যে আরও আগেই গুটিয়ে যেত, সেটিও পরিষ্কার। বৃষ্টিবিঘ্নিত বাংলাদেশের ইনিংসে মাঝে প্রায় এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকলেও ওভার কাটা যায়নি।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভালোই, পাওয়ারপ্লেতে দিলারা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারির উইকেট হারালেও ওঠে ৪৩ রান। রেনুকা সিংয়ের প্রথম ওভারে ২ চার মেরে শুরু করা দিলারা থামেন দ্বিতীয় ওভারে দীপ্তি শর্মাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে।

ফর্ম খুঁজে ফেরা সোবহানা অবশ্য ইতিবাচক ছিলেন, ব্যাট চালিয়ে গেছেন তিনি। ৪টি চারে ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন সোবহানা, সর্বশেষ ১২ ইনিংসের মধ্যে যেটি তাঁর সর্বোচ্চ। শ্রেয়াঙ্কা পাটিলের বলে এলবিডব্লু হন।

পাওয়ারপ্লেতে এমন শুরুর পর মাঝের ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল জুটির, মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে সেটি গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন নিগার সুলতানা। কিন্তু রাধা যাদবকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু বাংলাদেশ অধিনায়ক, মুর্শিদার সঙ্গে জুটি থামে ২৩ বলে ২২ রানে।

সে সময় ৭ বলের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। নিগার আউট হওয়ার পরের বলে ফাহিমা খাতুনও হন এলবিডব্লু। চার মেরে হ্যাটট্রিক বল সামলালেও পরের ওভারে শ্রেয়াঙ্কাকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন সুলতানা খাতুন। ৬৯ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।

রানের জন্য ছুটছেন দুই বাংলাদেশি ব্যাটার

সিলেটের আকাশ কালো করে মেঘ জমতে শুরু করেছিল আগে থেকেই, ৭ ওভার পরই জ্বালাতে হয়েছিল ফ্লাডলাইট। ১১ ওভার পর নামা বৃষ্টিতে এরপর বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তাতে এক ঘণ্টার একটু কম সময় খেলা বন্ধ থাকলেও ওভার কাটা যায়নি।

সেই বিরতি বাংলাদেশের জন্য এসেছে আশীর্বাদ হয়েই। এ ম্যাচে স্বর্ণা আক্তারের জায়গায় দলে আসা রিতু মনি খেলেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। মুর্শিদার সঙ্গে তাঁর ৩২ রানের জুটি ভাঙেন দীপ্তি শর্মা। ৪ উইকেট নিয়ে ডেথ ওভারে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। তবে সেখানে ঠিক সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকেরা।

সে সময়ে ১৬ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় শেষ ৪ উইকেট। রাধার বলে স্টাম্পিং হন রাবেয়া, ঠিক পরের বলে রানআউট নাহিদা। সে দফা দেখে মনে হয়েছে, কল ছিল মুর্শিদারই, তিনিই পরে নিজের কলেই রানআউট হয়েছেন। সেটিও আবার ফ্রি হিটে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১১৯ (মুর্শিদা ৪৬, রিতু ২০, সোবহানা ১৯, দিলারা ১০, নিগার ৬ ; রাধা ৩/১৯, শ্রেয়াঙ্কা ২/২৪, দীপ্তি ২/১৪)।