আট বছর দায়িত্ব পালনের পর গত মাসে ইংল্যান্ড ফুটবল দলের কোচের পদ ছেড়েছেন গ্যারেথ সাউথগেট। নতুন কোচ কে হবেন, এ নিয়ে দেশটির ফুটবল অঙ্গনে চলছে বিস্তর আলোচনা। এরই মধ্যে ইংলিশদের পাশাপাশি বাইরের দেশের কোচদের নামও আলোচিত হচ্ছে। নাম এসেছে ইয়ুর্গেন ক্লপ, পেপ গার্দিওলারও।
সাবেক লিভারপুল কোচ ক্লপ এরই মধ্যে কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। এবার ইংল্যান্ডের কোচের চাকরি নিয়ে জিজ্ঞাসার মুখোমুখি হয়েছেন গার্দিওলা।
৫৩ বছর বয়সী গার্দিওলা এখন ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্বে। আট বছর ধরে ইংল্যান্ডে কাজ করা এই স্প্যানিশের সঙ্গে সিটির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর। এ ছাড়া কোচের আবেদন চেয়ে ইংল্যান্ড এফএ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যেসব যোগ্যতা চেয়েছে, তার সঙ্গে গার্দিওলা মানানসইও। দুই সপ্তাহ আগে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এফএ বলেছিল, নতুন কোচ হবেন এমন একজন, যাঁর ইংলিশ ফুটবল সম্পর্কে তাৎপর্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা আছে এবং প্রিমিয়ার লিগ অথবা শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খুব ভালো সাফল্য আছে।
প্রাক্–মৌসুম প্রস্তুতিতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা গার্দিওলাকে এক সাংবাদিক তাঁকে ইংল্যান্ডের কোচ হওয়া নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, ‘এখানে (ম্যানচেস্টার সিটি) আমি ভালোই আছি। (এ মুহূর্তে) আমি কিছু বলতে পারছি না। আমি জানি না এটা (গুঞ্জন) কোথা থেকে এসেছে। তবে আমি এখানে সুখে আছি।’
স্পষ্টতই, ইংল্যান্ডের কোচের চাকরি নিচ্ছেন না গার্দিওলা। সর্বশেষ চার প্রিমিয়ার লিগে ট্রফি জেতা এই কোচ সব মনোযোগ দিচ্ছেন সামনের মৌসুমে, ‘খেলোয়াড়েরা খেলতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সামনে যা করতে হবে, তা নিয়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে—আমি এসব নিয়ে আছি।’
গার্দিওলার আগে ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে গিয়ে লিভারপুলের সাবেক জার্মান কোচ ক্লপ বলেছিলেন, ‘এ মুহূর্তে চাকরি নিয়ে কোনো খবর নেই। না ক্লাবের, না দেশের। ইংল্যান্ড? যদি আমি বলি আপনাদের (ইংলিশদের) জন্য ব্যতিক্রম কিছু করব, তবে সেটা ফুটবল ইতিহাসেরই সবচেয়ে বড় লজ্জা হবে।’
ইংল্যান্ড দলের নতুন কোচ হিসেবে আলোচনায় আছে নিউক্যাসলের প্রধান কোচ এডি হাও, ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব–২১ দলের কোচ লি কার্সলি এবং চেলসি ও ব্রাইটনের সাবেক কোচ গ্রাহাম পটারের নামও।