২০২১ সালের ইউরোতে বাজে পারফরম্যান্সে জার্মানি ছিটকে যাওয়ার পর জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন টনি ক্রুস। তবে কোচ ইউলিয়ান নাগলসমানের ডাকে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি অবসর ভেঙে আবার মাঠে ফিরেছেন এ জার্মান মিডফিল্ডার। এরই মধ্যে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমে জার্মানির ইতিহাসে দ্রুততম গোলে সহায়তাও করেছেন ক্রুস।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ইউরোতেও দলের অন্যতম ভরসা হবেন ক্রুস। দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে জার্মান দলে ফেরা ক্রুস ক্লাব ফুটবলে নিজের ভবিষ্যৎ এবং রিয়াল মাদ্রিদে কিলিয়ান এমবাপ্পের আসার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। এমবাপ্পেকে সেরা খেলোয়াড়দের একজন মনে করা ক্রুস বলেছেন, ফরাসি ফরোয়ার্ডের রিয়ালে আসাটা দারুণ ব্যাপার হবে।
এমবাপ্পের রিয়ালে আসা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। এরই মধ্যে একাধিক সংবাদমাধ্যম রিয়ালের সঙ্গে তাঁর চুক্তির অনেক বিষয়ও সামনে এনেছে। এমবাপ্পে অবশ্য এখনো সরাসরি কিছু বলেননি। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এমবাপ্পে বলেছেন, ‘এখনো কিছুই ঘোষণা করিনি। কারণ, আমার কাছে ঘোষণা দেওয়ার মতো কিছু নেই।’
বিষয়টি নিয়ে ক্রুসের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিয়ালের এই জার্মান তারকা বলেছেন, ‘আমরা সেরা খেলোয়াড়দের মাদ্রিদে চাই, সে তেমনই একজন। কোনো সন্দেহ নেই সে সেরাদের একজন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো শিরোপা জেতা। তার আসা মাদ্রিদের জন্য দারুণ ব্যাপার হবে। কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের এরই মধ্যে একটি ভালো দল আছে।’
রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন নিয়েও কথা বলেন ক্রুস। এর আগে গত বছরের জুনে রিয়ালের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি নবায়ন করেন ক্রুস, যার মেয়াদ ফুরাবে এ মৌসুম শেষে। রিয়াল ছাড়া কিংবা চুক্তি নবায়ন নিয়ে ক্রুস বলেছেন, ‘এই তিন মাসের মধ্যে আমাকে বিষয়টা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপর দেখা যাক কী হয়। গত বছর আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলাম এবং বেশ দেরিতে যোগাযোগ হয়েছিল। এবারও একই অবস্থা হবে। আমরা দেখব এবারও একই ফল আসে কি না। আমি বিষয়টা নিয়ে এখন ভাবছি।’
ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও এ সময় কথা বলেছেন ক্রুস, ‘ক্লাবের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ভালো। গত মৌসুমের ইতিবাচক ফল মাথায় রেখে আমি নিশ্চিত আমরা উভয় পক্ষের জন্য সন্তুষ্ট হওয়ার মতো সমাধান খুঁজে পাব। আমি সব সময় সত্যি বলি এবং আমি জানি না (কী হবে)। কী করা যায় সেটা ভাবছি, কিন্তু আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি আনন্দিত যে অনেক মানুষ আমাকে আরেক বছর খেলতে দেখতে চায়।’