মাথায় চোট পেয়ে হাসপাতালে গেলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ নারী দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় শামসুন্নাহার। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলার সময় মাথায় আঘাত পান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন গোলের দ্বিতীয়টি করেছেন শামসুন্নাহার।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে বল নিয়ে নেপালের বক্সে ঢুকছিলেন শামসুন্নাহার। কিন্তু নেপালের এক ডিফেন্ডার ট্যাকল করলে মাটিতে পড়ে যান তিনি। ওই সময় মাথায় আঘাত পেয়ে প্রায় মিনিট দুয়েক মাটিতে শুয়ে ছিলেন। এরপর দলের ফিজিও গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁকে। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও খেলার মতো ফিট ছিলেন না তিনি। বিরতিতে শামসুন্নাহারকে উঠিয়ে কোচ গোলাম রব্বানী মাঠে নামান আইরিন খাতুনকে।
ম্যাচের বিরতির সময় শামসুন্নাহার ডাগআউটে শুয়ে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। এরপর ম্যাচ শেষ হলে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শামসুন্নাহারের চোট যদিও তত গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছেন কোচ গোলাম রব্বানী। তারপরও তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান না তিনি। যে কারণে শামসুন্নাহারকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কোচ, ‘শামসুন্নাহার ব্যথা পাওয়ার পর কিছু সময় স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য সে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তারপরও কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য দলের সঙ্গে থাকা চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তবে আমি আশা করি, পরশু দিন সে ঠিক হয়ে যাবে।’
গত সেপ্টেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফের ফাইনালে বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম গোলদাতা ছিলেন শামসুন্নাহার। নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে প্রথমটিই করেন এ ফরোয়ার্ড। এবারও দেশের মাটিতে শামসুন্নাহারকে ঘিরেই আক্রমণের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন কোচ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চোটের কারণে যদি ছিটকেই পড়েন, সেটা দলের জন্য বড় ক্ষতিই হবে।