২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনে একমাত্র বিডার ছিল সৌদি আরব এবং ১০ বছর পরের সেই বিশ্বকাপের আয়োজক যে তারা, সেটাও নিশ্চিত হয়েছে আগেই। গতকাল সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৪৮ দলের এই ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সৌদির ৫টি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে, এর মধ্যে ৮টি সৌদির রাজধানী রিয়াদে। সৌদি আরব ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের বিড করার পর এ ঘোষণা এসেছে।
ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮টি দল খেলবে ২০৩৪ বিশ্বকাপে। কোনো সহযোগী দেশ নয়, সৌদি আরব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে একাই।
বিডের দলিল অনুসারে, সৌদি আরবের প্রস্তাবিত শহরগুলোর মধ্যে রিয়াদ ছাড়াও আছে জেদ্দা, আল খোবার, আবহা ও ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের নতুন শহর নিওম। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, রিয়াদেই থাকবে ৮টি স্টেডিয়াম।
এর মধ্যে একটি নির্মাণের অপেক্ষাধীন কিং সালমান স্টেডিয়াম, যে স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা হবে ৯২ হাজার। এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ।
২২০ বিলিয়ন ডলার খরচে ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে কাতার। এরপর গত বছর অক্টোবরে বিশ্বকাপ আয়োজনে সৌদি আরবের প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সৌদিকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে ফিফা।
বিডের দলিল অনুসারে, ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে সৌদির কমপক্ষে ৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার ১৪টি স্টেডিয়াম লাগবে। বর্তমানে সৌদির এমন স্টেডিয়াম আছে দুটি—জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়াম ও রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়াম। তবে ফাহাদ স্টেডিয়ামে এখন বড় ধরনের মেরামতকাজ চলছে।
তাই তেলসমৃদ্ধ দেশটির বিশ্বকাপ আয়োজনে এখন অবকাঠামোই প্রধান চ্যালেঞ্জ। রক্ষণশীল ভাবমূর্তি সরিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতেই মূলত এত বড় বড় ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজন করতে চায় সৌদি আরব। ২০২৭ এশিয়ান কাপ, এমনকি ২০২৯ এশিয়ান উইন্টার গেমসও আয়োজন করার কথা তাদের। যদিও পরিবেশবিদেরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
২০৩৪ সালেই রিয়াদে এশিয়ান গেমস আয়োজন করা হবে। দুই সপ্তাহের এই টুর্নামেন্টে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের চেয়েও বেশি ইভেন্ট থাকবে, থাকবেন সমান পরিমাণ অ্যাথলেটও।