কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল পেয়েছিল দুর্দান্ত এক দল। শিরোপার দৌড়ে তারা ছিল হট ফেবারিট। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। ব্রাজিলে ‘হেক্সা’ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকার হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ে দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিতে।
এমন বিদায়ে হৃদয় ভেঙেছে নেইমারেরও। ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারের পর তাঁর কান্না ব্রাজিলভক্তদের সহজে ভোলার কথা নয়। তিতের বিদায়ের পর কোচকে নিয়ে আবেগপ্রবণ বার্তা দিয়েছেন নেইমার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তিতের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তিতেকে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা কোচ হিসেবে অভিহিত করেছেন পিএসজি তারকা।
২০১৬ সালের জুনে কার্লোস দুঙ্গার উত্তরসূরি হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেন তিতে। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপেও তাঁর অধীনেই খেলেছিল ব্রাজিল। সেই বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও তার ওপর ভরসা হারায়নি কনফেডারেশন অব ব্রাজিল ফুটবল (সিবিএফ)।
৬ বছর তিতের অধীনে খেলা নেইমার বলছেন ভালো কোচের পাশাপাশি মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ছিলেন তিতে, ‘আমি জানতাম আপনি ভালো কোচ। কিন্তু আপনার অধীনে খেলার পর মনে হলো আপনি এর চেয়েও ভালো মানুষ। আপনি আমার অন্যতম সেরা কোচ ছিলেন, সামনেও থাকবেন। সব সময় আপনার পাশে আছি। দারুণ কিছু মুহূর্ত একসঙ্গে কাটিয়েছি। আবার কিছু কষ্টের স্মৃতিও আছে। বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার স্মৃতি আমাদের অনেক দিন কষ্ট দেবে।’
এবারের বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করেছিলেন তিতে। বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট হিসেবেও দেখা হয়েছিল তাঁদের। তবে শিরোপা আর জেতা হয়নি। নেইমার বিশ্বাস করেন, কাতার বিশ্বকাপটা প্রাপ্য ছিল তিতের। সঙ্গে তিনি অনেক কিছু শেখানোর জন্যও তিতে ধন্যবাদ দিয়েছেন, ‘এবারের বিশ্বকাপ জেতা আপনার প্রাপ্য ছিল। আমাদের সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সর্বোচ্চে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা এভাবে চাননি। প্রফেসর আপনাকে ধন্যবাদ, এত কিছু শেখানোর জন্য। মানসিকভাবে শক্ত থাকো, আপনার এই কথাটা সব সময় আমার মনে থাকবে। এই মুহূর্তে যেটা আমাদের থাকা দরকার।’
সব মিলিয়ে তিতের অধীনে ৮১ ম্যাচ খেলে ব্রাজিলের জয় ৬১টি, হার ৭টি, বাকিগুলো ড্র।