দলের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে এমনিতেই পিএসজির ম্যাচে আলোচনায় থাকেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে গত দুই সপ্তাহে সেই আলোচনায় বাড়তি রসদ জুগিয়ে আসছে তাঁর ক্লাব ছাড়ার খবর। যে খবর সামনে আসার পর কোনো ম্যাচেই তাঁকে আর পুরো নব্বই মিনিট খেলানো হয়নি! এ নিয়ে প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের মুখেও পড়ছেন কোচ লুইস এনরিকে।
প্রশ্ন ওঠার কারণেই হোক বা অন্য কোনো কারণ, আজ চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে পুরো সময়ই খেলানো হয়েছে এমবাপ্পেকে। আর ২৫ বছর বয়সী ফরাসি তারকাও আরেকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি কেন গুরুত্বপূর্ণ। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে পিএসজি জিতেছে ২-১ গোলে। প্যারিসের দলটির দুটি গোলই এমবাপ্পের। এর আগে প্রথম লেগেও দুই গোল দিয়েছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। এক গোল করেছিলেন এমবাপ্পে।
দুই লেগ মিলিয়ে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দেওয়াই ছিল পিএসজির। যা আরও নিশ্চিত হয়ে যায় দ্বিতীয় লেগের ১৫তম মিনিটেই। উসমান দেম্বেলের বাড়ানো বল সোসিয়েদাদ বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে কোনাকুনি শটে জালে পাঠান এমবাপ্পে।
পরের পনের মিনিটের মধ্যে পেয়ে যেতে পারতেন দ্বিতীয় গোলও। ২৯ মিনিটে ব্রাডলি বারকোলার পাস থেকে এমবাপ্পের নেওয়া নিচু শট প্রতিহত করেন সোসিয়েদাদ গোলকিপার আলেহান্দ্রো রেমিরো।
দ্বিতীয়ার্ধেই অবশ্য আবার গোলের আনন্দে মাতেন এমবাপ্পে। লিং কাং-ইনের বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে বল জালে জড়ান তিনি।
এটি চ্যাম্পিয়নস লিগে এমবাপ্পের ৪৬তম গোল। আর চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৪তম।
ম্যাচে এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোলে সোসিয়েদাদের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। ৮৯ মিনিটে স্প্যানিশ দলটির হয়ে ব্যবধান কমানোর একমাত্র গোলটি করেন মিকেল মেরিনো।
এ নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় ওঠা সবশেষ আটবারের মধ্যে তৃতীয়বার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পিএসজি। আগের দুইবারের মধ্যে ২০১৯-২০ আসরে ফাইনাল এবং ২০২০-২১ আসরে সেমিফাইনালে খেলেছিল দলটি।