বল দখলে রেখে, পাসের পর পাসে প্রতিপক্ষের রক্ষণের তালা খোলার চেষ্টা—স্প্যানিশ ফুটবলের ধরনই এমন। গতকাল মরক্কোর বিপক্ষেও ঠিক এই কৌশলেই খেলেছে লুইস এনরিকের দল। ১০১৯টি পাস খেলেও কাজের কাজটা করতে পারেনি। দিন শেষে ফুটবল তো গোলেরই খেলা।
গোলের খেলা ফুটবলে গোল করতে না পেরেই ব্যর্থ স্পেন। মরক্কোর বিপক্ষে টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে শুটআউটেও জাল খুঁজে পেতে ব্যর্থ স্পেন। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হয়ে সব ব্যর্থতা এখন নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন এনরিকে।
স্পেনের হয়ে প্রথম তিনটি পেনাল্টি নিয়েছিলেন পাবলো সারাবিয়া, কার্লোস সোলের, সের্হিও বুসকেটস। এই তিনজনের কেউই লক্ষ্য ভেদ করতে পারেননি। তাতেই লেখা হয়ে যায় স্পেনের বিশ্বকাপ–ভাগ্য।
স্পেনের প্রথম তিনটি পেনাল্টি কারা নেবেন, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোচ এনরিকে। ম্যাচ শেষে তাই দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন এনরিকে, ‘দায়টা আসলে আমার। পেনাল্টি নেওয়ার জন্য প্রথম তিনজনকে আমিই নির্বাচন করেছিলাম। বাকি দুটি পেনাল্টি কারা নেবে, তার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফুটবলাররা। আমরা তো চতুর্থ শটও নিতে পারিনি।’
স্পেনকে হারিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছে মরক্কো। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবার শেষ আটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা। এমন অর্জনের পর প্রতিপক্ষ মরক্কোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এনরিকে, ‘মরক্কোকেও জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। তারা তাদের খেলাটা খেলেছে, পেনাল্টি শুটআউটে তারা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। আমাদের ফুটবলারদের হারটা মেনে নিতে হবে, হার প্রাপ্য হোক বা না হোক।’
ম্যাচ জিততে না পারলেও ফুটবলারদের প্রশংসা করেছেন স্পেন কোচ। কয়েক দিন আগেই জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপের পর স্পেনের দায়িত্বে আর থাকতে চান না তিনি। ম্যাচ হারের পর স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রশ্নটা উঠেছিল। তবে এনরিকে তাঁর চুক্তি নিয়ে এখন কোনো কথা বলতে চান না, ‘ম্যাচে আমাদের প্রভাব বেশি ছিল। আমার দল নিয়ে আমি গর্বিত। আর আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার এটা সঠিক সময় নয়। আমার চুক্তি শেষের পথে। আমরা সামনে এই বিষয় নিয়ে কথা বলব।’