ড্রিবলিং-পাসিংয়ে দক্ষতা, ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বোঝা আর প্রতি-আক্রমণ তৈরির ক্ষমতার কারণে অনেকে তাঁকে জাভি, ইনিয়েস্তার যোগ্য উত্তরসূরি মনে করেন। এবার গবেষণা দিচ্ছে আরও বড় ইঙ্গিত। ২০ বছরের কম বয়সী ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলার হিসেবে উঠে এসেছে পাবলো গাভির নাম। ১৮ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার খেলেন বার্সেলোনায়।
বিশ্বের ৭৫টি লিগের ২০০ জন অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের ফুটবলারের এক বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পোর্টস স্টাডিজ (সিআইইএস) ফুটবল অবজারভেটরি। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটি একই বয়স ও একই পজিশনের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেছে। যা সিআইইএস ফুটবল অবজারভেটরির ৪১৯তম সংখ্যায় তুলে ধরা হয়েছে।
খেলোয়াড়দের অবস্থান বুঝতে ‘এক্সপেরিয়েন্স ক্যাপিটাল’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে গবেষণা মেয়াদের মধ্যে একই ধারার তরুণদের মধ্যে খেলার মোট সময় ফলকে বিবেচনায় নিয়ে একটি নম্বর দেওয়া হয়েছে।
একই বয়স ও পজিশনের খেলোয়াড়দের গড় মানের চেয়ে ৪.৩৭ গুণ বেশি নম্বর পেয়েছেন গাভি। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে খেলা ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। তাঁর স্কোর ৩.৬৬। প্রথম পাঁচের বাকি তিনজনই ডিফেন্ডার। ব্যবধানও কাছাকাছি। যথাক্রমে বেনফিফায় খেলা পর্তুগিজ ডিফেন্ডার আন্তোনিও সিলভা (৩.১৬), বার্সেলোনার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আলেহান্দ্রো বালদে (৩.১৬) ও নেদারল্যান্ডসের আল্কমারের হাঙ্গেরির মিলোস কারকেজ।
সিআইইএস পজিশন অনুযায়ীও সেরা প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলারদের নাম প্রকাশ করেছে। তাঁরা হচ্ছেন গোলকিপিংয়ে লেভস্কি সোফিয়ার প্লামেন আনদ্রিভ, সেন্টারব্যাকে বেনফিকার আন্তোনিও সিলভা, লেফটব্যাকে বার্সেলোনার আলেহান্দ্রো বালদে, রাইটব্যাকে ম্যানচেস্টার সিটির রিকো লুইস, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে রয়্যাল আন্টভের্পের আর্থার ভারমিরেন, সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে বার্সেলোনার পাবলো গাভি, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে কেআরসি জেঙ্কের বিলাল এল খান্নাস, লেফট উইংয়ে ওয়াটফোর্ডের ম্যাথিয়াস মার্টিনস, রাইট উইংয়ে সান্তোসের অ্যাঞ্জেলো গ্যাব্রিয়েল এবং সেন্টার ফরোয়ার্ডে সান্তোসের মার্কো লিওনার্দো।