নেইমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে আলোচনায় পিএসজি কট্টরপন্থী সমর্থকেরা
নেইমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে আলোচনায় পিএসজি কট্টরপন্থী সমর্থকেরা

মেসি–নেইমারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী সমর্থকদের এবার ম্যাচ বর্জনের ঘোষণা

বিতর্ক থেকে যেন বেরোতেই পারছে না পিএসজি। একটি শেষ না হতেই শুরু হচ্ছে নতুন কোনো বিতর্ক। এবার পিএসজির ম্যাচ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ক্লাবটির কট্টর সমর্থক গোষ্ঠী ‘দ্য কালেকটিভ আল্ট্রাস প্যারিস (সিইউপি)’। এর আগে নেইমারের ক্লাব ছাড়ার দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে আলোচনায় এসেছিল পিএসজির এই সমর্থক গোষ্ঠী।

সেই ঘটনার পর ত্রয়ার বিপক্ষে পিএসজির ম্যাচে তাদের টিকিট ব্লক করেছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এবার আল্ট্রা গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেরাই পিএসজির ম্যাচ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

ঝামেলার শুরুটা হয়েছিল অনুমতি ছাড়াই লিওনেল মেসির সৌদি আরব–যাত্রার পর। এই ঘটনার পর পিএসজি মেসিকে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দেয়। সে সময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় নেইমারের বাড়ির সামনে সমর্থকদের বিক্ষোভের পর। বিক্ষোভের সময় সমর্থকদের হাতে ছিল ক্লাবের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা ব্যানার।

সেই বিক্ষোভের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় কিছু সমর্থক মেসি, নেইমার ও মার্কো ভেরাত্তির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফির প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে পিএসজির প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে কিছু সমর্থক বোগিভালে নেইমারের বাড়ির সামনে যান। বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ‘নেইমার চলে যাও’ স্লোগান দেন তাঁরা।

মেসি–নেইমারকে ক্লাবে দেখতে চান না কট্টর পিএসজি সমর্থকেরা

যদিও পিএসজি কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে ভালোভাবে নেয়নি। সমর্থকদের এমন কাণ্ডের সমালোচনা করে বিবৃতিও দেয় তারা। পরে ত্রয়ার ম্যাচে এই গোষ্ঠীর ৪৫০ জনের টিকিট ব্লক করে ক্লাবটি। এবার পিএসজি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর নিজেরাই পিএসজির ম্যাচ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

এক বিবৃতিতে সিইউপি বলেছে, ‘ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং দ্য কালেকটিভ আল্ট্রাস প্যারিস নেতাদের বৈঠকের পর আমরা সিইউপি নিজেদের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছি। ফলে আমরা আর পার্ক দে প্রিন্সেসে উপস্থিত থাকব না বা অন্য কোথাও খেলা দেখতে যাব না।’

সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত এটিকেই একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে সিইউপি বলেছে, ‘আমরা ক্লাবের কাছ থেকে কিছু বিষয়ে পরিষ্কার উত্তরের অপেক্ষায় আছি। এরপরই হয়তো আমরা নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করব।’