ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো

বললেন ইনফান্তিনো

‘৩ ঘণ্টা বিয়ার না খেলেও বেঁচে থাকবেন’

কাতারের বেশির ভাগ জায়গায় অ্যালকোহল নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোতে ব্যতিক্রম হবে বলে জানানো হয়েছিল। উদ্বোধনী ম্যাচের ভেন্যু আল বায়ত স্টেডিয়ামের বাইরে বিয়ারের অস্থায়ী দোকানও বসানো হয়েছিল।

তবে বিশ্বকাপ শুরুর দুই দিন আগে আচমকাই স্টেডিয়ামের বাইরে ও ভেতরের সাধারণ গ্যালারিতে অ্যালকোহল পান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফিফার এই সিদ্ধান্তে ইউরোপের দর্শকেরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ।

আজ দোহার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি উঠে আসে। আয়োজক কাতারের সুপ্রিম কমিটির সুপারিশেই অ্যালকোহল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ফিফার নিয়ন্ত্রণ আছে কি না—এমন প্রশ্ন ধেয়ে যায় তাঁর দিকে।

‘২০০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ আছে’ জানিয়ে ফিফা সভাপতি বলেন, ‘এটিই যদি বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়, তাহলে আমি পদত্যাগ করে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতে আয়েশ করতে যাব।’

কাতার বিশ্বকাপে যত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সবই ফিফা এবং আয়োজক কমিটি যৌথভাবে নিয়েছে বলে জানান ইনফান্তিনো।

স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এখনো কাতারের বিভিন্ন জায়গায় বিয়ার কেনা ও খাওয়ার সুযোগ আছে জানিয়ে ফিফা সভাপতি বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, বিশ্বকাপ ঘিরে প্রতিটি সিদ্ধান্ত ফিফা এবং কাতার যৌথভাবে নিয়েছে। প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনা হয়েছে, বিতর্ক হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে যৌথভাবে। এখনো কাতারের ভেতরে দুই শতাধিক জায়গায় অ্যালকোহল কেনার সুযোগ আছে। ১০টির বেশি ফ্যান জোনে একই সঙ্গে ১ লাখের বেশি মানুষ অ্যালকোহল পান করতে পারবেন।’

ইউরোপের বেশ কিছু দেশের স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল পান করা যায় না উল্লেখ করে সমালোচকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইনফান্তিনো, ‘আমি যেটা ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, দিনে ৩ ঘণ্টা বিয়ার না খেলেও আপনি বেঁচে থাকবেন। একই নিয়ম কিন্তু ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, স্কটল্যান্ডেও আছে। ওখানেও স্টেডিয়ামের ভেতরে বিয়ার খাওয়া যায় না। কিন্তু এখানে এটা বড় ব্যাপার হয়ে গেছে, কারণ এটা মুসলিম দেশ।’