অবিশ্বাস্য! নাহ্, শব্দটা ঠিক জুতসই হলো না। ফুটবল মাঠে আর্লিং হলান্ড যা করছেন, সেটাকে কোনো বিশেষণেই যেন বোঝানো যাচ্ছে না। ৫ দিনের মধ্যে করলেন দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। সর্বশেষ দুই ম্যাচে গোল সংখ্যা ৮ টি। হলান্ড যন্ত্র, নাকি অতিমানব সেই প্রশ্নও এখন চাইলে কেউ তুলতে পারেন।
আর হলান্ডের অতিমানব হয়ে ওঠার রাতে আরও একবার বড় জয় দেখল ম্যানচেস্টার সিটি। এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ দল বার্নলিকে সিটি উড়িয়ে দিয়েছে ৬-০ গোলে। হলান্ডের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি জোড়া গোল করেছেন হুলিয়ান আলভারেজ, অন্য গোলটি পালমারের।
ম্যান সিটির আগের ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে লাইপজিগের বিপক্ষে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যান সিটি। সেই ম্যাচে হলান্ড একাই করেছিলেন ৫ গোল।
সেদিন হলান্ড মাঠে ছিলেন মাত্র ৬৩ মিনিট। সেদিন যেখানে থেমেছিলেন, বার্নলির বিপক্ষে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। গত রাতেও তাঁকে সেই ৬৩ মিনিটেই নামিয়ে নেন পেপ গার্দিওলা। যার মানে, দুই ম্যাচে ১২৬ মিনিট খেলেই ৮ গোল তাঁর!
ইতিহাদে ৩২ মিনিটে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে গোলের শুরুটা করেন হলান্ড। ৩ মিনিট পর আরেকবার দেখান ফিনিশিংয়ের জাদু। ফিল ফোডেনের পাসে বল জালে জড়ান এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। ৫৯ মিনিটে আবারও গোল। ফোডেনের শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে ফিরতি বল জালে জড়িয়ে ৫ দিনের মধ্যে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন হলান্ড। এটি চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাঁর ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক।
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত হলান্ডের গোল ৪২ টি। প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে একটি গোলের রেকর্ড থেকে আর মাত্র ২ গোল দূরে হলান্ড।
প্রিমিয়ার লিগে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এক মৌসুমে এর চেয়ে বেশি গোল আছে দুজনের-রুড ফন নিস্টলরয় ও মোহাম্মদ সালাহ। দুজনেই করেছেন ৪৪টি করে গোল। সালাহ ও নিস্টলরয়কে ছাড়িয়ে হলান্ডের শীর্ষে উঠা এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।
বড় ব্যবধানের হারের পরও বার্নলি কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির মুখে শোনা গেছে হলান্ডের প্রশংসা। তিনি বলেছেন, ‘সে নিজের উন্নতির জন্য সঠিক জায়গাতেই আছে। সে এখানে (সিটিতে) আরও ভালো করবে। সঠিক কোচকেই সে পেয়েছে।’