নটিংহাম ফরেস্ট ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে তলানির দল। গত শনিবার এই দলের কাছেই ১-০ গোলে হেরে বসে লিভারপুল। সেই হার থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পরের ম্যাচটা যেভাবে জেতা উচিত, লিভারপুল জিতল সেভাবেই, আয়াক্সকে দাপটের সঙ্গে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
ডাচ ক্লাবটির মাঠে ড্র করলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হতো লিভারপুলের। কিন্তু দারউইন নুনিয়েজ-মোহাম্মদ সালাহরা মাঠে নেমে ধাতস্ত হতে না হতেই প্রায় গোল করে বসেছিল আয়াক্স! ২ মিনিটের মাথায় একদম সহজ সুযোগ থেকে বল পোস্টে মারেন আয়াক্সের উইঙ্গার স্টিভেন বারঘুইস।
লিভারপুল স্বাগতিকদের গতি ও ছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে সময় নিয়েছে। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটে আয়াক্স গোলকিপার রেমকো তাসভেরের পরীক্ষাই নিতে পারেননি নুনিয়েজ-ফিরমিনোরা।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে অনেকটাই ম্যাচের ধারার বিপরীতে গোল পায় লিভারপুল। জর্ডান হেনডারসনে র দারুণ ফ্লিক থেকে চিপ করে গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ। চ্যাম্পিয়নস লিগের এই মৌসুমে তাঁর ষষ্ঠ গোল। কিছুক্ষণ পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত লিভারপুল। রবার্তো ফিরমিনোর নিঃস্বার্থ পাস পেয়ে সুবিধাজনক জায়গা থেকেও গোল করতে পারেননি স্ট্রাইকার নুনিয়েজ। বল পোস্টে মারেন!
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে অপেক্ষাকৃত কঠিন সুযোগ থেকে গোল করে ভুল শোধরান নুনিয়েজ। অ্যান্ডি রবার্টসনের আউটসুইং ক্রস থেকে হেডে গোল করেন উরুগুয়ে তারকা। দুই মিনিট পরই সালাহর ম্যাজিক! ডান প্রান্ত থেকে বল পেয়ে ঘুরে গিয়ে আয়াক্সের রক্ষণচেরা থ্রু বাড়ান মিসরীয় ফরোয়ার্ড। সেই থ্রু ধরে গোল করতে অসুবিধা হয়নি লিভারপুলের ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার হার্ভি এলিয়টের। লিভারপুলের ইতিহাসে প্রথম ‘টিনেজ’ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা দুই ম্যাচে গোল করলেন এলিয়ট (১৯ বছর ২০৫ দিন)।
৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের দুইয়ে লিভারপুল। ১ নভেম্বর শেষ ম্যাচে নাপোলিকে অ্যানফিল্ডে আতিথ্য দেবে ক্লপের দল। অন্য ম্যাচে রেঞ্জার্সকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে গ্রুপপর্বে শতভাগ জয়ের ধারা বজায় রেখেছে নাপোলি। নেপলসে স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল করেন আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনের ছেলে জিওভান্নি সিমিওনে। ৮০ মিনিটে শেষ গোলটি ওস্টিগার্ডের। ৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করা নাপোলি। ৫ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়া আয়াক্সের শেষ ষোলোয় ওঠার আশা নেই।