ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে টমাস টুখেল
ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে টমাস টুখেল

গার্দিওলাকে পেছনে ফেলে টুখেলই কি ইংল্যান্ডের পরবর্তী কোচ

স্পেনের বিপক্ষে ইউরোর ফাইনালে হারার পর সমালোচনার মুখে ইংল্যান্ড কোচের পদ ছাড়েন গ্যারেথ সাউথগেট। এরপর ইংল্যান্ডকে টানা দুবার ইউরোর ফাইনালে তোলা সাউথগেটের জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় লি কার্সলেকে। আপাতত এই ইংলিশ কোচ অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করছেন, তবে দ্রুতই নতুন কোচ নিয়োগ দিতে চায় ইংল্যান্ড।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ এর আগে জানিয়েছিল, কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডের প্রথম পছন্দ ছিলেন পেপ গার্দিওলা। কিন্তু টাইমস এরপর জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) টমাস টুখেলের সঙ্গে কথা বলেছে। ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার দৌড়ে এখন এই জার্মানই এগিয়ে।

টাইমস জানিয়েছে, টুখেলের সঙ্গে এফএ এর আলোচনা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে। কারণ স্থায়ী কোচ নিয়োগে আর দেরি করতে চায় না এফএ।

২০২১ সালে টুখেলের কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতে ইংলিশ ক্লাব চেলসি

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মার্ক বুলিংহাম ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর জন ম্যাকডারমট ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার জন্য প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছেন টুখেলকে। গত মৌসুম শেষে বায়ার্নের দায়িত্ব ছাড়া টুখেলও ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে টাইমস। সব ঠিক থাকলে সভেন–গোরান এরিকসন ও ফাবিও কাপেলোর পর টুখেলের ইংল্যান্ড ছেলেদের জাতীয় দলের তৃতীয় বিদেশি কোচ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিলে টুখেলের ভাষাগত সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে টাইমস। চেলসি দুই মৌসুম দায়িত্ব পালনকালে এবং ২০২১ চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর পথে ইংরেজি ভাষাটাও দখলে এনেছেন টুখেল। ইংল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক হ্যারি কেইনের সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন বায়ার্নে। দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াও চমৎকার।

টাইমস এর আগে জানিয়েছিল, ম্যানচেস্টার সিটিকে দুর্দান্ত সব সাফল্য এনে দেওয়া গার্দিওলাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ মৌসুম শেষেই সিটির সঙ্গে গার্দিওলার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে গার্দিওলা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। সিটি ৫৩ বছর বয়সী এই কোচের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে মরিয়া বলেই দাবি ইংল্যান্ডের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।

নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি গার্দিওলা

সম্প্রতি ইতালির টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘চে টেম্পো চে ফা’-তে এক সাক্ষাৎকারে গার্দিওলাকে ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘সিটি ছেড়ে যাওয়া? এটা সত্য নয়। আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। এমনকি এটাও সত্য নয় যে আমি ইংল্যান্ডের পরবর্তী কোচ হতে যাচ্ছি। যদি সিদ্ধান্ত নিই, তবে আমি জানাব। আমি এখনো জানি না। যেকোনো কিছুই হতে পারে।’

এফএ–এর পছন্দের তালিকায় ইয়ুর্গেন ক্লপের নাম আছে বলেও শোনা গেছে। লিভারপুলকে অনেকটা একক কৃতিত্বে ব্যর্থতার তলানি থেকে সাফল্যের চূড়ায় তুলেছেন ক্লপ। তবে গত মৌসুম শেষে ‘ক্লান্তি’র কারণে অ্যানফিল্ডের দায়িত্ব ছেড়ে দেন এই জার্মান কোচ। তবে কদিন আগেই নতুন এক দায়িত্ব নিয়েছেন ক্লপ। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি অস্ট্রিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রেড বুলের ফুটবল প্রকল্পে কাজ শুরু করবেন। ফলে তাঁকে আপাতত ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে পাবে না এফএ।

শেষ পর্যন্ত এফএ কাকে কোচ হিসেবে বেছে নেবে, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে।