পর্তুগাল দলের অধিনায়ক রোনালদো
পর্তুগাল দলের অধিনায়ক রোনালদো

সৌদি ক্লাবের ৩৫ কোটি ইউরোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন রোনালদো

গ্রীষ্মকালীন দলবদলে আসলেই কি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে কেউ নিতে চায়নি?

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করতে না পারায় রোনালদোর হতাশা ছিল স্পষ্ট। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় খেলতে নতুন ঠিকানাও খুঁজেছিলেন। তাঁর এজেন্ট হোর্হে মেন্দেজ যোগাযোগ করেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, চেলসিসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে। ওই সময় ইউরোপের কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কোনো ক্লাবই রোনালদোকে কিনতে চায়নি।

তবে রোনালদোর দাবি, খবরটা ভুল ছিল। টক টিভির ‘পিয়ার্স মরগান আনসেন্সরড’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু বিষয় খোলাসা করেছেন রোনালদো। এর মধ্যে ছিল গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে তাঁর দলবদল প্রসঙ্গও।

সৌদি আরবের আল হিলাল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফাহাদ বিন নাফেল দাবি করেছিলেন, রোনালদোকে তাঁরা দলে ভেড়াতে চেয়েছিলেন। কথাটি সত্য কি না, জিজ্ঞেস করা হলে রোনালদো বলেন, ‘হ্যাঁ, সত্যি। তবে সংবাদমাধ্যম তখন ফালতু কথা বলে যাচ্ছিল। আমাকে নাকি কেউ চায় না। সম্পূর্ণ ভুল কথা।’

যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল জানিয়েছে, রোনালদোকে দুই বছরের চুক্তিতে ৩৫ কোটি ইউরো দিতে চেয়েছিল আল হিলাল। চুক্তিবদ্ধ হলে রোনালদোই হতেন ফুটবলবিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া ফুটবলার।

মরগানের অনুষ্ঠানে রোনালদো দাবি করে,ন শুধু সৌদির ক্লাবই নয়, আরও কিছু দল তাঁকে দলে নিতে চেয়েছিল, ‘তারা (সংবাদমাধ্যম) বলেছিল অনেক প্রেসিডেন্ট এবং ডিরেক্টররা আমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ, এ রকম কিছু ঘটেইনি। আমাকে অনেকগুলো ক্লাব, অনেকগুলো নয়, কয়েকটি ক্লাব চুক্তিবদ্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি যাইনি। এখানেই স্বস্তিবোধ করছিলাম।’

সর্বশেষ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ভালো ছন্দে ছিলেন উল্লেখ করে রোনালদো বলেন, ‘যে খেলোয়াড়টি আগের বছর ৩২ গোল করেছে, তাকে কেউ না চায় কীভাবে?’

সৌদি ক্লাবটির বড় অঙ্কের প্রস্তাব কেন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যায় ৩৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘প্রস্তাবটা ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন ছিল। তবে একই সঙ্গে এটাও ঠিক, ওই সময় ভাবছিলাম এখানেই ভালো আছি। এখনো আমি গোল করার সামর্থ্য রাখি। এই বিশ্বাসটা আমার এই মুহূর্তেও আছে। এখনো জাতীয় দলকে সাহায্য করার সামর্থ্য আমার আছে, এমনকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেও।’