নেইমার ও এমবাপ্পে
নেইমার ও এমবাপ্পে

এমবাপ্পেকে নিয়ে সমালোচনামূলক পোস্টে নেইমারের ‘লাইক’

পিএসজিতে তাঁদের শুরুটা ভালোই ছিল। কিন্তু সময় যতই গড়িয়েছে, বদলেছে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সম্পর্কের সমীকরণ। একপর্যায়ে চরমে ওঠে দুজনের বিরোধ। তবে শেষ পর্যন্ত অবসান ঘটতে যাচ্ছে একের–অপরের ছায়া মাড়ানো দিনের। নেইমার ও এমবাপ্পের পথ এখন দুই দিকে বেঁকে যাচ্ছে। নেইমার পিএসজি ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল হিলালে নাম লেখাচ্ছেন। অন্য দিকে এমবাপ্পের গন্তব্য এখনো নিশ্চিত নয়।

তবে এমবাপ্পের গন্তব্য আর যেখানেই হোক, সেটি যে আল হিলাল হচ্ছে না, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। নেইমার প্রস্তাব পাওয়ার আগেই আল হিলালকে ফিরিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পে। তাই আগামী মৌসুম থেকে একে–অপরকে সহ্য করতে হবে না তাঁদের। কিন্তু এরপরও যেন শেষ হচ্ছে না এ দুজনের বিরোধের রেশ। নতুন করে সেই উত্তাপটা ফিরিয়ে এনেছেন নেইমারই। এমবাপ্পেকে নিয়ে সমালোচনা করে দেওয়া এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ‘লাইক’ দিয়েছেন নেইমার। এ ঘটনার পর দুজনের পুরোনো বিরোধের বিষয়টি আবার সামনে এসেছে।

নেইমার যে পোস্টটিতে লাইক দিয়েছেন, সেখানে তাঁর নিজের নামও আছে। সেই পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, ‘গত গ্রীষ্মে কিলিয়ান এমবাপ্পে পিএসজিকে এটা স্পষ্ট করেছেন যে একই দলে তিনি এবং নেইমার থাকতে পারবেন না। কাকতালীয়ভাবে নেইমার যখন আল হিলালে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন, সেদিনই এমবাপ্পে খুব আনন্দিত হয়ে অনুশীলনে ফিরে এসেছেন।’ পরে এই পোস্টটিতে নিজের সমর্থন জানিয়েছেন নেইমার।

পিএসজির আর একসঙ্গে দেখা যাবে না নেইমার ও এমবাপ্পেকে

২০১৭ সালে পিএসজিতে বিশ্বের দুই দামি খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দেন নেইমার ও এমবাপ্পে। সে সময় নেইমারকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু পরে গিয়ে সেই সম্পর্কটা আর ঠিকঠাক ছিল না। ধীরে ধীরে চরমে ওঠে দুজনের ‘অহম’–এর দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত গত মৌসুমের প্রায় পুরোটা জুড়ে নিজেদের দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনায় ছিলেন তাঁরা। এমনকি মাঠে কে পেনাল্টি নেবেন, তা নিয়েও বিরোধে জড়িয়েছেন তাঁরা।

পিএসজির সে সময়ের কোচ গালতিয়েরও পারেননি শেষ পর্যন্ত এ দুজনের মধ্যে শীতল সম্পর্ককে উষ্ণ করতে। যার প্রভাব পড়েছে পিএসজির সামগ্রিক পারফরম্যান্সেও। এমনকি এমবাপ্পের মেসি–নেইমারকে অ্যাসিস্ট না করা নিয়েও সে সময় কথা হয়েছে অনেক। তবে আগামী মৌসুমে এ দৃশ্য আর দেখতে হবে না। তবে কাছাকাছি থেকে আর বিরোধে জড়ানোর সুযোগ না থাকলেও লাইক–কমেন্ট করে বিরোধটা জিইয়ে রাখতে পারেন, সে ইঙ্গিতটাই যেন দিলেন নেইমার।