২০০৮ সালের পর কোনো প্রতিযোগিতায়ই চ্যাম্পিয়ন হতে পারছিল না এএস রোমা। ৫১ বছর ধরে ক্লাবটির ছিল না কোনো ইউরোপীয় শিরোপাও।
সেই ক্লাবকেই ২০২২ সালে উয়েফা কনফারেন্স লিগ জিতিয়ে আবারও ইউরোপীয় ট্রফির স্বাদ পাইয়ে দেন জোসে মরিনিও। এর সঙ্গে কাটে দীর্ঘ ১৪ বছরের শিরোপা–খরাও। কিন্তু এ মৌসুমে দল ভালো করতে না পারায় মরিনিওকে বরখাস্ত করতে দ্বিতীয়বার ভাবেনি রোমা কর্তৃপক্ষ। ১৬ জানুয়ারি ‘স্পেশাল ওয়ান’–খ্যাত কোচকে চাকরিচ্যুত করে রোমের ক্লাবটি।
মৌসুমের মাঝপথে ক্লাবহীন হয়ে পড়ার পরপরই স্প্যানিশ রেডিও স্টেশন কোপে জানায়, সৌদি ক্লাব আল শাবাবের কোচ হচ্ছেন মরিনিও। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি এই পর্তুগিজ কোচ।
এরপর ব্রিটিশ সানডে টাইমস দাবি করে, আগামী মৌসুমে মরিনিওকে কোচ বানাতে আগ্রহী নাপোলি। এবার আরেকটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের সাংবাদিক মাইক কিগান জানালেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরতে চান মরিনিও।
২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনাইটেডের কোচ ছিলেন মরিনিও। কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন অবসরে যাওয়ার পর মরিনিওর হাত ধরে আবারও শিরোপা জিততে শুরু করেছিল রেড ডেভিলরা। প্রায় আড়াই বছর কোচের দায়িত্বে থেকে ক্লাবটিকে জিতিয়েছেন কমিউনিটি শিল্ড, লিগ কাপ ও ইউরোপা লিগ। কিন্তু ২০১৮–১৯ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে অবস্থান নড়বড়ে হওয়ায় তাঁকে ছাঁটাই করা হয়।
ইউনাইটেডকে প্রিমিয়ার লিগ জিতিয়ে সেই ‘অসমাপ্ত কাজ শেষ করতেই’ মরিনিও আবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরতে চান বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল। সম্প্রতি ইউনাইটেডের ২৫ শতাংশ মালিকানা কিনে নিয়েছেন ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার জিম র্যাটক্লিফ। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইনেওস গ্রুপ বর্তমানে ক্লাবটির ফুটবল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। মাইক কিগান তাঁর প্রতিবেদনে লিখেছেন, মরিনিও ইনেওসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
সংবাদমাধ্যমটির ক্রীড়া বিভাগের ‘ইটস অল কিকিং অফ’ নামের পডকাস্টে মাইক কিগান বলেছেন, ‘ইউনাইটেডে প্রত্যাবর্তনই তার লক্ষ্য। গতবার যেভাবে শেষ হয়েছিল, তাতে তার মনে হচ্ছে, সে সেখানে অসমাপ্ত কাজ ফেলে এসেছে। সেখানে ফিরে যাওয়া তার কাছে এখন একটা অভিযান।’
কিগান অবশ্য এটাও জানিয়েছেন, মরিনিওর ইউনাইটেডের কোচ হতে চাওয়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত একতরফা। ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। আপাতত এরিক টেন হাগের ওপরই আস্থা রাখছে ইউনাইটেড। টেন হাগের সঙ্গে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত চুক্তি আছে ক্লাবটির।